দীর্ঘ ১৮ বছর পর ঐক্যবদ্ধ কুয়েত বিএনপির সম্মেলন সফল করতে আলোচনা সভা

কুয়েত প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কুয়েত’র সম্মেলন ২০২০ ঘিরে আহবায়ক কমিটি এক সভা আয়োজন করা হয় গতকাল শুক্রবার দুপুর ১ ঘটিকায় কুয়েত সিটিস্হ রাজধানী হোটেল বলরুমে । কুয়েত বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আলহাজ্জ শওকত আলীর পরিচালনায় দীর্ঘ কয়েকমাস পর বসে এই মতবিনিময় সভা ।পুরোদমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় কুয়েত বিএনপির নেতা- কর্মীরা, করোনাকালে দলটি ভার্চুয়ালেই সহ বিভিন্নভাবে সাংগঠনিক রাজনীতি চালিয়ে গিয়ে ৬টি প্রদেশ বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে । গতকাল ৩ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় কুয়েত বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাথে তাদের পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয় । গতকালকের পরিচিতি সভায় বিভিন্ন প্রদেশের সবাই দলের কাউন্সিল করার পক্ষেই মতামত দেয় । এর পর দীর্ঘ কয়েক মাস পর কুয়েত বিএনপি ২০২০ সম্মেলন করার লক্ষে আহবায়ক কমিটি গতকাল শুক্রবার দুপুর ১ ঘটিকা থেকে রাত ৮:৩০ ঘটিকা একটানা এই বৈঠক করে দীর্ঘ ৭ ঘন্টার আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিন্ধান্ত গৃহিত হয় আগামী ১লা জানুয়ারী সম্মেলন অনুষ্টিত হবে এবং ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাচাই করা হবে ।সেই লক্ষে সর্বসম্মতীক্রমে কুয়েত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্জ শওকত আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয় । তারিখ ঘোষনার পর কুয়েত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সহ তৃণমূলে কমিটি গঠনে আনন্দ উল্লাস শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য কুয়েত বিএনপির সর্বশেষ কমিটি হয় ২০০৪ সালে,দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর কাউন্সিল করার কথা থাকলে তখনকার সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী মন্জুরুল আলম কালক্ষেপন করে তারা আর কোনো কমিটি গঠন করেন নি । তখন থেকে দলটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । এর পর থেকে কুয়েতে ত্রিদ্বারায় বিএনপির রাজনীতি চলে আসছিলো কিন্তু প্রায় দেড় বছর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য, মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব দুই দুইবার কুয়েত এসে তিনভাগে বিভক্ত নেতৃবন্দদের তাগিদ দিয়েছেল নিজেদের মধ্যে বসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কমিটি গঠনের জন্য । তারপরও যখন ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি কুয়েত বিএনপি তখন তিনভাগের নেতাদের দুবাই তে ডেকে এক বছর আগে ৪৭ বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সুপারিশ করে ঢাকা থেকে অনুমোদিত হয়ে আসে । তার দুই/তিনমাস পর বৈশ্বিক মহামারী করোনার জন্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছিলো , দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকমাস পর্যন্ত সাময়িকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিলো। এরপর পরিবর্তিত সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রকাশ্যে পরিচালনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, বিএনপির সাংগঠনিক ৬টি প্রদেশ ৩৬জনকে কাউন্সিলর করা হয়, তা নিয়ে মোট ৮৩ জন কাউন্সিলর । আজকের আলোচনা সভায় উপস্হিত ছিলেন আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য চুন্নু মোল্লাহ, সোয়েব আহমেদ, মাঈন উদ্দিন, আক্তার উজ জামান সামস, আজিজ উদ্দিন মিন্টু, ফয়সাল আহমেদ,মাহফুজুর রহমান, কাদের মোল্লাহ, আশফাক আহমেদ, আজাদ নুর ,নওশাদ আহমেদ,ইকবাল আহমেদ, শাহজাহান সবুজ, ইদ্রিস ব্যাপারী,মোমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, এ কে হাসান আল আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ নিজামুর রহমান টিপু, মোশারফ মোস্তফা, গ্লোডেন সেলিম ,আবুল কালাম আজাদ, শফি উল্লাহ লিটন, শেখ মোস্তফা, কোরবান আলী, জাহিদ আহমেদ, মোস্তফা ফারুখী, মারুফ আহমেদ,আজিজুর রহমান প্রমূখ । আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান আলহাজ্জ শওকত আলী বলেন আমার অর্পিত দায়ীত্ব হলো আপনাদের আমানত, আমি যেনো সেই আমানত ভালোভাবে রক্ষা করে কুয়েত বিএনপির কাউন্সিলের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে অনুমোদিত হয়ে আসার পর আমার দায়িত্ব শেষ হবে। সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *