কুলাউড়ায় ডাকাত আতংক; পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল একটি পরিবার

কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশের তৎপরতায় ডাকাতির কবল থেকে রক্ষা পেল একটি ধনাঢ্য পরিবার। পুলিশের এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগ সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে কুলাউড়া উপজেলায় সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ডাকাতির পায়তারা করছে এমন তথ্য আসায় টহল জোরদারসহ কোন ধরনের ডাকাতি সংঘটিত না হয় সেজন্য সতর্ক অবস্থানে থাকে পুলিশ প্রশাসন। এসময় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে এলাকার মানুষদের সর্তক থাকার জন্য বলা হলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা তাদের এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য বলেন। মসজিদগুলোতে মাইকিং হওয়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিষয়টি ব্যাপক চাউর হলে মধ্যরাতে ডাকাত আতংকে মানুষ একত্র হয়ে রাত জেগে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন এমনটি খবর পাওয়া গেছে।

কুলাউড়া থানা সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা, ধনাঢ্য ও প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার মোঃ মুহিবুর রহমান কোকিলের বাড়িতে প্রবেশ করে একদল মুখোশ পড়া ডাকাত। এসময় চতুর্দিকে মসজিদের মাইকিংয়ের খবর শুনে ডাকাতরা দ্রুত বাড়ি ত্যাগ করে।

এ ব্যাপারে মুহিবুর রহমান কোকিল বলেন, আমি প্রতিদিন আমার কাজ শেষে রাত ১২ টার মধ্যে বাড়ি ফিরি। রবিবার আমার জরুরী কাজ থাকায় রাত ২টায় বাড়ি ফিরলে আমার বাড়ির কাজের লোক সুমন আমাকে জানায়, মধ্যরাতে মুখোশ পড়া কিছু লোক বাড়িতে প্রবেশ করে দরজায় ধাক্কাতে থাকে। এসময় চারিদিকে মসজিদের মাইকিং শুনে লোকগুলো আমার বাড়ি ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। কুলাউড়া থানা প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন থেকে আমি বেঁচে যাই।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার্স ইনর্চাজ বিনয় ভূষণ রায় সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কাছে ডাকাতির তথ্য আসায় আমরা সকল ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক থাকতে বললে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ডাকাতদের আমরা রুখতে পেরেছি। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশী টহল এবং প্রতিটি এলাকায় জনসাধারণকে কোন সন্দেহ জনক কিছু দেখলে বা সন্দেহ হলে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে জানাতে ও জরুরী প্রয়োজনে ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *