কুলাউড়া পৌর নির্বাচনে কে কত ভোট পেয়েছেন

বিশেষ প্রতিনিধি : কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে ১৫৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট হল ৪,৮৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজান মিয়া জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪,৬৮৫ ভোট। এছাড়া আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মোঃ শফি আলম ইউনুছ নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২,৯৯৪ ভোট এবং বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ ১৭৭৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।
১৬ জানুয়ারী শনিবার রাত ৮টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে নির্বাচনী কন্ট্রোলরুমে বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানির্ং অফিসার ও সিলেটের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন যারা :
১নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর লোকমান আলী টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৮৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি নেছার আহমদ উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৪৮৭ ভোট ও ইউনুছ মিয়া ডালিম প্রতীক নিয়ে ১০৪ ভোট পান।

২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কায়ছার আরিফ টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৭৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৫৮০ ভোট ও মোঃ আশরাফ উদ্দিন সাবু পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে ২২৭ ভোট পেয়েছেন।

৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মনজুর আলম চৌধুরী খোকন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৭৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ কামাল আহমদ পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে ৪৫৯ ভোট ও মোস্তফা সালেহ আহমদ উটপাখি নিয়ে ৫৪ ভোট পেয়েছেন।

৪নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন উটপাখি নিয়ে ৩৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সুজিত দেব ডালিম প্রতীক নিয়ে ৩৪৭ ভোট পেয়েছেন, মোঃ সাইফুর রহমান টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৩১২ ভোট, সাইদুর রহমান চৌধুরী পানির বোতল নিয়ে ৫৯ ভোট ও শামীম আহমদ পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে ৩৮ ভোট পেয়েছেন।

৫নং ওয়ার্ডে সাইফুর রশীদ সুমন ব্রীজ প্রতীক নিয়ে ৪৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান কাউন্সিলর শামছুল ইসলাম পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ৪৩৭ ভোট পেয়েছেন। জহির খান টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৫৯ ভোট, ইমন আহমদ রইছ পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে ৫৬ ভোট, মুরাদ আহমদ উটপাখি নিয়ে ২২ ভোট ও হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া ডালিম প্রতীক নিয়ে ১৭ ভোট পেয়েছেন।

৬নং ওয়ার্ডে মোঃ জহিরুল ইসলাম খান ডালিম প্রতীক নিয়ে ১২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান কাউন্সিলর রাসেল আহমদ চৌধুরী পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ৫০২ ভোট ও বেলায়েত হোসেন লাভলু উটপাখি প্রতীক নিয়ে ২৪০ ভোট পেয়েছেন।

৭নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ১৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আব্দুল মতলিব খোকন উটপাখি নিয়ে ৮৫১ ভোট পেয়েছেন, অহিদ বখ্শ মান্না গাজর প্রতীক নিয়ে ৪২৫ ভোট পেয়েছেন।

৮নং ওয়ার্ডে আতাউর রহমান চৌধুরী ছোহেল পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে ৮৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল আহমদ শামীম পানির বোতল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট, আব্দুল গফুর উটপাখি নিয়ে পেয়েছেন ৯ ভোট।

৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বাচ্চু উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৬৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মোঃ ইশ্রাব আলী টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭৭ ভোট, ফয়জুর রহমান চৌধুরী পানির বোতল নিয়ে পেয়েছেন ১৬৪ ভোট, মোঃ মাসুক মিয়া পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮০ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে সুফিয়া বেগম চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ১৫০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান কাউন্সিলর রাবেয়া বেগম জবা ফুল নিয়ে ১৪৫০ ভোট পেয়েছেন, লিপা চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ৪৩২ ভোট, শিউলী বৈদ্য চশমা প্রতীক নিয়ে ৭১২ ভোট পান। ২নং ওয়ার্ডে তাসলিমা সুলতানা মনি আনারস প্রতীক নিয়ে ১০২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি রেহানা পারভীন জবা ফুল নিয়ে ৯৪১ ভোট পান। বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম বলপেন প্রতীক নিয়ে ৭৬৬ ভোট, রাজিয়অ সুলতানা চৌধুরী অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে ৫৪৭ ভোট, হুনুফা আক্তার টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৩৪৬ ভোট, ও হাওয়ারুন নেছা চশমা প্রতীক নিয়ে ২০৬ ভোট পান। ৩নং ওয়ার্ডে মোছাৎ সুলতানা বেগম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ১২৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান কাউন্সিলর দিলারা বেগম দ্বিতল বাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। নার্গিস আক্তার আনারস প্রতীক নিয়ে ১০৬৬ ভোট পান, সুমাইয়া রহমান চশমা প্রতীক নিয়ে ৮৫৩ ভোট, শেখ সামিনা বেগম জবা ফুল প্রতীক নিয়ে ৮৪৩ ভোট, শিল্পী আক্তার অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে ৩৬০ ভোট পান।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা পৌরসভার ৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২০ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ৮১০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে বাতিল ভোট ৫১৭ এবং বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৯৩ ভোট। মোট ভোটের প্রদত্ত হার ৭১.৩৪ শতাংশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *