শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে জনগণের সেবা করতে চান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলু

বিশেষ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহি ইউনিয়ন ৫নং কালাপুর। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে চান মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও সমাজ সেবক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলু। উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত এ ইউনিয়নকে আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদে নৌকার মাঝি হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলু।

শীঘ্রই ৫নং কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এ তালিকায় পুরাতন আর নতুনদের সাথে হাইব্রীড ও সুবিধাবাদীদের সংখ্যা কম নয়। যে কারণে নৌকা প্রতীক নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পরে। সে সকল জটিলতাকে উপেক্ষা করে আবারও আসন্ন নির্বাচনে উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ ও জন্মসূত্রে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলু।

নির্বাচনী মাঠে তিনি পুরাতন মুখ এবং সবার পরিচিত মানুষ। ২০১১ইং সনের ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২য় স্থান অর্জন করলেও পরবর্তীতে ২০১৬ইং সনের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ফজলুর রহমান দলের মতামতকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য মাঠে নিরলসভাবে কাজ করেন। চেয়ারম্যান কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি না হলেও এলাকার যে কোন মানুষ সমস্যায় পড়লে সাথে-সাথে সেখানে ছুটে যান তিনি। মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না-ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে। বিয়ে-সাদী, অভাবী, কাজহীন মানুষকে সহযোগিতা করা, যুব সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করে সবসময় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। ইউনিয়নের সকল বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের পরিচিত এবং আপনজন মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। জনগণের ইচ্ছা ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে তাই আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান তিনি। তৃণমূলের মতামত না নিয়ে গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করায় এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পরাজয় হয়।

মোহাম্মদ ফজলুর রহমান রাজনীতি আর সমাজ উন্নয়নে এ ইউনিয়নের প্রতিটি পরতে-পরতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন শুধু ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে আবারও প্রার্থী হতে চান। যে কারণে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি।

এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে তারা এবার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফজলুকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান। কালাপুর ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য তার বিকল্প নাই। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজসহ কৃষক-শ্রমিক, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ জনগণের বেশিরভাগ অংশই ফজলুর রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। এবার তারা ফজলুর রহমানকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায়। ইউনিয়নের অনেক বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগের কর্মীরা বলেন, ‘এ ইউনিয়নে বিরাট একটি অংশ চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের। ফজলুর রহমান সবসময় চা-শ্রমিকদের বিপদ-আপদে পাশে থেকেছেন। সেক্ষেত্রে ফজলুর রহমান মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হতে কোন সমস্যা হবে না।’

মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের ইচ্ছা আঙ্খাক্ষা উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে আলাপচারিতায় এ রিপোর্টারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সংগঠন, দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনসহ সকল কর্মকান্ডে জনগনের অংশগ্রহন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাকালীন দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। ২০০১ইং সনে আমি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আওয়ামীলীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী ও অংগ-সংগঠনের পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পলন করেছি। সেই স্কুল জীবন থেকে রাজনীতিতে পথচলা। আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার কারণে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীদলের হামলার শিকার হয়েছি। এছাড়াও আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে নিপিড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। আমার পরিবারের সবাই আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে গণমানুষের কাছে সর্বাধিক পরিচিত থাকায় আগামী ইউপি নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আশাকরি। দলের দুঃসময়ে যাদের খোঁজে পাওয়া যায়নি, তারাও এখন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নেয়ার জন্য দৌঁড়ঝাপ করছেন। তারা অতীতে বিভিন্ন সময়ে দলবদল করেছেন। এরা সুবিধাবাদী।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবারও আমি অংশ নিতে চাই। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিলে এবার আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো-এতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচিত হলে ৫নং কালাপুর ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।’

ফজলুর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা আমাকে আবারও নির্বাচনে আসার উৎসাহ দিয়েছে। দল আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনীত করলে-এবার আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে কালাপুর ইউনিয়নের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অত্র ইউনিয়নে উন্নয়নের নব দিগন্ত সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই, সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই। কারণ গত ৫ বছর এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান না থাকায়-জনগণ উন্নয়নের আভাস পায়নি। কালাপুর ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা গতিশীল করতে হলে দলীয় প্রার্থীর বিকল্প কিছু নেই। সে কারণে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে নৌকার মাঝি হয়ে কালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *