সিলেটে জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন ৫ জুন শুরু

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেছেন, ৫ জুন শনিবার সারাদেশ ব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু হবে। চলবে ১৯ জুন শনিবার পর্যন্ত। শিশুর সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোপথ্যালমিয়া’র মত রোগ হতে পারে যাতে করে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়। রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় ও ত্বকের শুস্কতা বৃদ্ধি পায়। রোববার দুপুর ১২টায় টায় সিলেট নগরীর সিভিল সার্জন অফিস-এর ইপিআই সম্মেলক কক্ষে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, যেহেতু ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা তাই সম্পূরক খাদ্য হিসেবে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। কোভিট- ১৯ প্রেক্ষাপটে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খেলে কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তিনি বলেন, এ লক্ষে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নীল ক্যাপসুল (১ লক্ষ ইউনিট), ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য লাল ক্যাপসুল (২ লক্ষ ইউনিট) খাওয়ানো হবে। জন্মের পর পরই নবজাতক শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানো, জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সবুজ শাখ সবজি ও হলুদ ফল খাওয়ানো এবং রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সৃমদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করা দরকার। সভায় বলা হয়, ইতোমধ্যে সিলেট জেলার সকল উপজেলার তদারককারি, মাঠকর্মী, ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বার ১ দিনেই এ ক্যাম্পেইন শেষ হলেও এবার সপ্তাহে ৪ দিন করে ২ সপ্তাহে মোট ৮ দিন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে। এ বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আসন্ন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন, প্রস্তুতি ও ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সম্পন্ন করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতের ও ব্যববহৃত সরঞ্জামের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং পর্যাপ্ত মাস্ক সরবরাহ করা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়ের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন বণিক, মেডিকেল অফিসার ডা. মির্জা লুৎফুল বারী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *