আমার নৌকা পাওয়ার যোগ্যতা ছিল কি না-মোঃ ছালিক আহমদ

আস-সালামু আলাইকুম/আদাব

সম্মানিত কাদিপুরবাসী সহ কুলাউড়া উপজেলার দেশে বিদেশে অবস্থানরত সকল শ্রদ্ধেয় নাগরিকবৃন্দ,

প্রথমেই আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

প্রিয় উপজেলাবাসী গত ২৬ তারিখে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে আসন্ন নির্বাচনের নৌকা প্রতিক বরাদ্দ নিয়ে আপনাদের মনে নানান প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।

অনেকেই স্যোসাল মিডিয়ায় মন্ত্যব্য করেছেন ছালিক আহমেদ কে? কোথা থেকে আসলেন?আওয়ামীলীগ করেন কি না?

আপনাদের প্রশ্ন অবশ্যই যোক্তিক এবং এর উত্তর জানাটাও প্রত্যেক নৌকা প্রেমি মানুষদের জন্য জরুরী।

তাই আপনাদের প্রশ্নের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে

আমি আমার ক্ষুদ্র পরিচয় তুলে ধরলাম।

পারিবারিক পরিচয়-

মোঃ ছালিক আহমদ

পিতা-মরহুম মোঃ জহুর আলী

সাবেক সাধারন সম্পাদক

৮নং ওয়ার্ড কুলাউড়া পৌর আওয়ামীলীগ।

চাচা – মরহুম মোঃ ইছরাব আলী মাস্টার

ভাষা সৈনিক ১৯৫২।

চাচা-মরহুম মোঃ ইদ্রিছ আলী (পুলিশ)

বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১

চাচাতো ভাই- মরহুম হাবীবুর রহমান (সাবেক সেনা কর্মকর্তা) বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১।

চাচাতো ভাই- আব্দুস সালাম (সাবেক গণপূর্ত কর্মকর্তা)

বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১।

গ্রাম – চাতল গাঁও

ডাক – কুলাউড়া

জেলা – মৌলভীবাজার।

রাজনীতি –

১৯৯২-৯৩ সাল নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই।

পরবর্তিতে ১৯৯৬ সালে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কুলাউড়া উপজেলা শাখার আওতাধীন বৃহত্তর স্কুল চৌমুহনী শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই।

তৎকালীন শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি ছিলেন আমার আপন চাচাতো বড় ভাই ছড়াকার আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ছিলেন হোসেন মনসুর ভাই।

এবং আমার কমিঠির তৎকালীন সভাপতি ছিলেন বর্তমান কুলাউড়া পৌরসভার সফল, সম্মানিত মেয়র, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও ১৯৯৬-৯৭ সালে কুলাউড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিঠিতে প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করি।

তৎকালীন সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সম্পাদক ছিলেন বদরুল ইসলাম বদর ও আব্দুস শহিদ ভাই।

প্রিয় উপজেলাবাসী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে

জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম,কর্মসূচিতে রাজপথে ছিলাম আপোষহীনভাবে।

যাই হোক একসময় জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে পাড়ি দিতে হয় বিদেশের মাঠিতে,দির্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে এসে আবারও মানুষের সেবায় নিয়োজিত হই,এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের সাথি হয়ে আবারও কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই এবং তারি ধারাবাহিকতায় উপজেলা যুবলীগের সম্মানিত সদস্য ও নিজ ইউনিয়ন কাদিপুর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই,এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী তথা আওয়ামীলীগের মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আপোষহীনভাবে।

সম্মানিত উপজেলাবাসী

অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও পারিবারিকভাবে আমার রক্তে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

আমি নৌকা পাওয়ার পর আবার বাতিল হয়ে গেল কেন?

কুলাউড়া উপজেলার সকল প্রকৃত আওয়ামীলীগার মানুষের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আমারও এই প্রশ্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে?

আমার নৌকা পাওয়ার যোগ্যতা ছিল কি না,

আপনারা নিজেরা হিসেব মিলিয়ে নিবেন।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

জয় হউক জননেত্রী শেখ হাসিনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *