আমার রক্ত আমার বেদনা!

প্রিয় রেদওয়ান ভাই আজ দীর্ঘদিন যাবৎ এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকায় চিকিৎসাধীন। আজ হয়তো কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। তার মাথায় চুল নেই, দাড়ি গুলো পড়ে গেছে। তার শরীরি ভাষা/অবস্থা দেখলে প্রিয়জনরা স্বভাবিক থাকতে অস্বস্তিবোধ করবেন। তার শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বেধেছে। সকল রোগের উৎস হচ্ছে রাজনৈতিক। যদি তিনি রাজনীতি না করতেন, যদি তিনি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো বিলাসী জীবন যাপন করতেন, লন্ডন বা আমেরিকা চলে যেতেন তাহলে আজকের বহীর্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরাম/ ফাউন্ডেশনের রাজনীতি করতেন, তাহলে জাসদ ছাত্রলীগের মতো একটি পথহারা সংগঠনের বিরাগভাজন হতেন না। তার শরীরে শতাধিক দা/খুরের ঝাঁজরা আগাত, শরীরে শতাধিক অস্ত্র পাচার সেই কৈশোর বয়সে সইতে হতো না। যার ফল এখন ভোগ করছেন। আজকের সংহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বা আজকের বিলুপ্তপ্রায় দিশাহীন জাসদ ছাত্রলীগের করুণ পরিনতিতে রেদওয়ান ভাইয়ের রক্তের অবদান কি দিয়ে কৃতার্থ করবেন। বিএনপির রেদওয়ান ভাইয়ের চেয়ে ছাত্রদলের রেদওয়ান ভাই সব সময় প্রিয় এবং শক্তিশালী ছিলেন এবং আছেন। যেমন ছাত্র রাজনীতির ষোলকলা তিনি পূরন করেছিলেন, তেমনি বিএন পির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ, অনবদ্য,অপরিহার্য এক কিংবদন্তী। কি রাত কি দিন, কি শহর কি গ্রাম,সিলেট ঢাকা কোথায় নেই তিনি। রেদোয়ান ভাইয়ের অনেক বন্ধু বিএনপির রাজনীতিতে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। অনেকে মন্ত্রী এম পি হয়েছেন। ডাকসুর সাবেক ভি পি আমান উল্লাহ আমান, জি এস খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দীন আলম, বি এন পির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সলিল সমাধিতে কোথাও আছেন এম ইলিয়াস আলী, প্রয়াত বি এন পির অবিসংবাদিত নেতা এম সাইফুর রহমান সহ আরোও অনেকে আছেন যারা কুলাউড়ার পরিচিত কাউকে পেলে রেদওয়ান খানের খবর জিজ্ঞেস করতেন অনায়াসে। সিলেট জেলা বি এন পির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক তার বন্ধু আলী আহমেদ, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দেখা হলে রেদওয়ান খানের সাথে তাদের রাজনৈতিক স্মৃতি রোমন্থন করেন। যে মানুষটির অংগুলী আকাশপানে গর্জন দিয়ে বক্তব্য শুনার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ প্রবল স্রোতের কাছে হার মানতো সেই মানুষটি আজ খোদার অশেষ কৃপার অপেক্ষায় আমরা তার পরিবার সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। আমিন।

রক্তঋন হয়তো জাসদের কাছেই থাকবে। কারন যারা তার রক্তে সেদিন মৌলভীবাজারের রাজপথ রঞ্জিত করেছিল তারা আজ ইতিহাসের নিকৃষ্ট কিটে পরিনত হয়েছে এবং মৌলভীবাজার জেলায় আজকের বি এন পির ভিত্তি তার অবদানের অংশ। পরিতাপের বিষয় তখনকার বা এখনকার মৌলভীবাজারের কোন নেতা তার পরিবারের পাশে স্ব-শরীরে সহানুভূতি প্রদর্শন করতে আসেননি———বেদনা সেখানেই! তার আমলে কুলাউড়ার মিছিল না গেলে মৌলভীবাজারের কোন অনুষ্ঠানই পরিপূর্নতা পায়নি তার অন্যতম কারিগর রেদোয়ান খান আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফোনে খবর নিয়েছেন জেলার সম্মানিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ অনেকে——–? ভাইয়ের সুস্ততা কামনায় আবারও সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।- আবু সুফিয়ান এর ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *