জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলার ডোমাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা পরিবেশ কর্মী খোর্শেদ আলম। ইউটিউব দেখে তাঁর শখ জাগে হলুদ তরমুজ চাষাবাদের। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো জুড়ীতে এই ফসল চাষাবাদ করে সফলতা পান তিনি।
নতুন এই প্রজাতির তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর তার স্বাদ ও সুগন্ধি খুব বেশি। এই ফলের ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় এলাকার মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। এমনকি এই ফলের চাহিদাও অনেক বেশি।
অনেকেই প্রথম এই ফল দেখেছেন এবং খেয়েছেনও। হলুদ তরমুজ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে গেছেন। কেউবা বলছেন আগামীতে এই ফসল চাষ করবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় ১৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ১হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল হলুদ তরমুজের চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ফসল চাষ করতে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার টাকার মতো। এবং ফল থেকে আয় আসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো। এটি শীত মৌসুমের ফসল। মাত্র ৩ মাসেই এর ফলন পাওয়া যায়। জুড়ী উপজেলার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এর চাষাবাদ ব্যাপক হবে এবং নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা বেকার রয়েছেন তারা এই ফল চাষ করে তাদের বেকারত্ব দূর করতে পারেন। মাত্র ৩মাস সময় সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ১বিঘা জমিতে ৫ লক্ষ টাকার মতো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি এই ফল চাষ করি আমার পারিবারিক চাহিদার জন্য। ফলন হবার পর এর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। যার জন্য অনেককেই ফলটি দেওয়া যায়নি। তবে তিনি আগামীতে এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করবেন বলে জানান। আর জুড়ীতে প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ তিনিই করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, ফলটি ভিন্ন কালারের হওয়ায় দেখতে আকর্ষণ করে। স্বাদেও খুবই মিষ্টি, দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। উচ্চফলনশীল এ হলুদ তরমুজে ভিটামিন-এ ও সি রয়েছে।