দোয়ারাবাজারে কমেছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমাসহ মেঘালয় থেকে নেমে আসা বিভিন্ন নদী-নালা, হাওর, খাল-বিলের পানি কচ্ছপ গতিতে হ্রাস পেলেও নিম্নাঞ্চলে রয়েছে অপরিবর্তিত। উপজেলার সুরমা, বগুলা, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়ন থেকে ধীর গতিতে পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে।

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণ বন্ধ হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফসলি জমি ও বীজতলা চাষাবাদের উপযোগী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষকরা। তবে দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁও ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় পানির স্থিতিশীলতায় আমনসহ আগামী মৌসুমি ফসল উৎপাদন অনিশ্চিতের আশংকা করছেন কৃষকরা। ওইসব ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘর এখনও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে শূণ্য বাড়িঘর ফেলে অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই নিয়েছেন। কখন যে আপন ঠিকানায় ফিরে আসবে তা অনিশ্চিত। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় এমনিতেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে বিশেষত চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন ওই এলাকাবাসী। খাদ্য সংকটে প্লাবিত এলাকার হালের বলদসহ গবাদি পশু-পাখিরা আহাজারি করছে।

এদিকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বানভাসি অসহায় পরিবারে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকলেও চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। অচিরেই দোয়ারাবাজারকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী এবং বন্যা পরবর্তী কৃষি ও আবাসন পূনর্বাসন ও বিনাসুদে কৃষিঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে, জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলো অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে অনেক ব্রিজ-কালভার্ট ভেসে নেয়াসহ অধিকাংশ স্থানে ভাঙন ও ফাঁটল সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ইরি-বোরো, আউশ, আমনের বীজতলা ও সবজি খেত বিনষ্ট হওয়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলাবাসী। জমি থেকে পানি না নামায় আমনসহ অগ্রহায়ণী মৌসুমী ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, বর্তমানে সুরমাসহ সকল নদনদী ও হাওর খাল-বিলের পানি ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। উপদ্রুত এলাকায় বানভাসি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি।

—-ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *