বোর্ড পরীক্ষায় শীর্ষে  মৌলভীবাজারের  শেখবাড়ী জামিয়া

সিলেট বিভাগের স্বনামধন্য দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখবাড়ী জামেয়া প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বেফাক ও আঞ্চলিক বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ঈসায়ী ১৪৪৪হি. শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ৩ বোর্ডে অংশগ্রহণ করে মোট: ১৭৫ জন শিক্ষার্থী তাদের  মধ্যে মুমতায-(A+) লাভ করেছে মোট: ৭৬ জন।
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে মোট: ৩৯ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান (১ম বিভাগ) থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে মোট: ৪৯  জন। আর জায়্যিদ (২য় বিভাগে) উত্তীর্ণ হয়েছে মোট: ৬৯ জন।
শেখবাড়ী জামিয়ার এ সাফল্যের পিছনে জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আল্লামা শায়েখ মুফতি মুহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী হাফিযাহুল্লাহ-এর দু’আ ও দিকনির্দেশনা এবং জামিয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা লন্ডন প্রবাসী শেখ আহমদ আফজল বর্ণভী হাফিযাহুল্লাহ’র শ্রম-সাধনা ও তাঁরই দুই সহোদর শেখ সা’দ আহমদ আমীন বর্ণভী হাফিযাহুল্লাহ ও শেখ আব্দুর রহমান আসজাদ বর্ণভী হাফিযাহুল্লাহর অক্লান্ত পরিশ্রম সহ জামিয়ার আসাতিযায়ে কেরামের মেহনত-মুজাহাদা ও নজিরবিহীন কুরবানী রয়েছে।
এক নজরে শেখবাড়ী জামিয়ার -২০২৩  শিক্ষা বর্ষের (কেন্দ্রীয় পরীক্ষার) ফলাফল
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ মুমতায-(A+) পেয়েছে: ৩০ জন,
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে: ৫ জন (যথাক্রমে: ২১তম, ৩৮তম, ৪২তম, ৪৪তম, ৫৭তম)
আজাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম সিলেট  তাকমীল ফিল হাদিস (মাস্টার্স) জামাত
মুমতায-(A+) পেয়েছে: ৪জন
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে: ৪জন (যথাক্রমে: ১ম, ২য়, ৪র্থ, ৫ম) মুতাওয়াসসিতাহ (হেদায়াতুন নাহু) জামাত
মুমতায-(A+) পেয়েছে: ২২জন
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে: ২২জন, (যথাক্রমে: ১ম, ২য়, ৩য়(দুই জন), ৪র্থ, ৬ষ্ট, ৭ম(২জন), ৮ম, ৯ম, ১১তম, ১৩তম, ১৫তম, ১৭তম, ১৮তম, ১৯তম, ২২তম, ২৫তম, ২৮তম, ৩৩তম(৩জন)।
তানজিমুল মাদারিসিল আরাবিয়া মৌলভীবাজার
মুমতায-(A+) পেয়েছে: ২০ জন
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে: ৮জন, (যথাক্রমে: ১ম, ৫ম, ৭ম, ৯ম, ১৩তম, ১৪তম, ১৯তম, ২০তম)।
কুরআন-হাদীসের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া এবং নববী আদর্শে সমাজকে উন্নীত করার মহান লক্ষ্য নিয়ে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শেখবাড়ী জামিয়া।
উল্লেখ্য,শেখবাড়ী জামিয়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দ্বীনী উচ্চাঙ্গের শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। যুতসই শিক্ষা দানের কারণে সর্বত্র রয়েছে জামিয়ার বিশেষ পরিচিতি। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শিক্ষা-দীক্ষার কাজ আঞ্জাম দিতে জামিয়া সবসময়ই বেছে নিয়েছে দক্ষ, যোগ্য ও পরিশ্রমী শিক্ষক। সময়ের প্রয়োজন এবং যুগের চাহিদাকে চোখ বুঁজে এড়িয়ে যায়নি জামিয়া। পাঠ্যতালিকায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে-সৃজনশীল বিষয়গুলোও ।পাঠ্যতালিকার বাহিরে গিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে বছরব্যাপী কোর্সকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে আসছে জামিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *