শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলার পলাতক ২জন আসামি গ্রেফতার

হারিস মোহাম্মদ: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অভিযানে গণধর্ষণ মামলায়  শহীদ (৩৫) এবং  ফয়েজ মিয়া(২৮) নামে পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল।
মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এ কে এম ফজলুল হক অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সহায়তায় রোববার ১৬ এপ্রিল রাতে রাজনগর উপজেলার জালালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার মুল আসামী  শহীদ (৩৫), পিতা-মৃত রাজ্জাক মিয়া, সাং-মাজদিহি, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজারকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আজ ১৭ এপ্রিল রাতে শ্রীমঙ্গল থানাধীন পৌরসভার চৌমুহনা এলাকা থেকে আসামি ফয়েজ মিয়া (২৮), পিতা-ফয়রাজ মিয়া, সাং-মাজদিহি পাহাড়, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা -মৌলভীবাজারকে গ্রেফতার করা হয়
গত ১৪ এপ্রিল ইফতারের পর ভিকটিম (২৩) সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানাধীন গোয়ালা বাজার হতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন তার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন আসামী সেলিম ভিকটিমকে মৌলভীবাজার চাঁদনী ঘাট থেকে কুলাউড়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়। আসামি সেলিম ভিকটিমকে কথা মতো চাঁদনী ঘাটে না নিয়ে ১৪ এপ্রিল রাত অনুমান  সাড়ে ৮ টায় শ্রীমঙ্গল থানাধীন ভৈরবগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসার পর সেলিম তার সিএনজি গাড়িটি থামায়। তখন সেলিম এর সহায়তায় আগে থেকেই ভৈরবগঞ্জ বাজারে থাকা আরও ৫ জন ভিকটিমকে মাজদিহি চা বাগানে নিয়ে রাত অনুমান ৯ টা থেকে থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে।
এ ঘটনার পরপর তাৎক্ষনিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি চালক সেলিম (৩৩) ও হৃদয় নুনিয়া (২০)কে গ্রেফতার করে গত ১৫ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। আসামি হৃদয় নুনিয়া মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলে,   মামলার ঘটনায় জড়িত মোট ৬ (ছয়) জন আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ (চার) জন আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *