নিজের সঙ্গে লড়াই না করে অবসরে ব্যালান্স

অনলাইন ডেস্ক :

মাত্র কদিন আগেই জিম্বাবুয়ের হয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন গ্যারি ব্যালান্স। কিন্তু এই পথচলার শুরুতেই অনুভব করলেন, নতুন করে এগোনোর প্রেরণাই নেই তার ভেতরে। নিজের সঙ্গে লড়াই না করে তাই ক্ষান্তি দিলেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সেই সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ টেস্ট খেলে ৪টি সেঞ্চুরি করেন ব্যালান্স। ইংলিশদের হয়ে ওয়ানডে খেলেন তিনি ১৬টি। এরপর থমকে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছিলেন তিনি নিয়মিতই। তার ক্যারিয়ার হোঁচট খায় ইয়র্কশায়ারে আজিম রফিককে ঘিরে বর্ণবাদের বিতর্কে। যেখানে দলটির আরও ৬ জনের সঙ্গে অভিযোগ ওঠে ব্যালান্সের বিরুদ্ধেও।

মানসিক অবসাদের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরেও থাকতে হয় তাকে। ২০২২ মৌসুমের শেষ দিকে তাকে চুক্তি থেকে ছেড়ে দেয় ইয়র্কশায়ার। পরে ক্যারিয়ারের নতুন শুরুর আশায় তিনি পাড়ি জমান জন্মভূমি জিম্বাবুয়েতে, যাদের হয়ে খেলেছিলেন তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। গত ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন তিনি। এই অধ্যায়ের শুরুটাও দারুণ হয় তার। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলে ২টি ফিফটি করেন। ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে নাম লেখান ইতিহাসে। দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে সেঞ্চুরির কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে আগে করতে পেরেছিলেন কেবল কেপলার ওয়েসেলস। এই সময়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হয় তার।

কিন্তু থমকে গেলেন তিনি শুরুতেই। অবসরের ঘোষণায় ব্যালান্স জানালেন, পেশাদার ক্রিকেটে নিত্য দিনের লড়াইয়ে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। “অনেক ভাবার পর আমি এই মুহূর্ত থেকেই সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়েতে আসার পর নতুন করে ক্রিকেটের আনন্দ খুঁজে পাব। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ দেওয়ার জন্য ও তাদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য।” “তবে আমি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে পেশাদার ক্রিকেটের কঠোরতায় নিজেকে নিবেদিত করার তাড়না হারিয়ে ফেলেছি এবং খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এবং ক্রিকেট খেলার প্রতিও অন্যায় করা হবে।

সামনের পথচলায় তাদেরকে শুভ কামনা জানাই।” সব মিলিয়ে ২৩ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৪০.৩২ গড়ে ১ হাজার ৬৫৩ রান নিয়ে শেষ হচ্ছে তার টেস্ট ক্যারিয়ার। ওয়ানডেতে ২১ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে রান ২৫.২২ গড়ে ৪৫৪। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪২ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন তিনি ১২ হাজারের বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *