মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে দীর্ঘ ১৭দিন অসুস্থতার পর এখন একটু একটু করে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি,এ যেন এক নতুন জীবনের আলোকপাত।
গত ১৫ ই ডিসেম্বর যথারীতি প্রতিদিনের মত অফিসে গেলাম ।কাজ শুরু করলাম কিসমাসের জন্য অফিসে কাজের পেশার একটু বেশী প্রতিবারের মত এবার কাজের অনুপাতে কর্মরত লোক কম কারন কোভিট ১৯ এর জন্য সোস্যাল দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে অস্হায়ী লোক নিয়োগ কম হয়েছে ২০২০ সালে।আমার অফিসের ভিতর নামাজের জন্য মসজিদ আছে কাজে থাকা অবস্স্হায় জামাতে নামাজ আদায় করতে পারি । আমাদের অফিসটি ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় অফিস প্রায় এক হাজারের মত লোকের কর্ম সংস্হান এখানে বিকাল ৪টায় মাগরিবের নামাজ কেন জানি মসজিদে যেতে মন সায় দিল না বড্ড ক্লান্ত অনুভব করলাম cwu অফিস রোমে বসা এখানেই নামাজ আদায় করে নিলাম।পরে এক কাপ লাল চা পান করে যথারীতি বাকী সময়টুকু কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলাম । এসে সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলাম গোসল করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে আমার স্ত্রী অফিসে যাবার সময় বলে গেলেন যদি পারি তাহলে অফিসে যাবার আগে সামান্য শপিং এনে দিতে আমি শুধু শুনলাম কিছু বলতে পারলামনা সকাল ৭টা হল মনেহল আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না আমার আদরের ছোট মেয়েটা সামিয়াকে বললাম আব্বু তুমি কি একা যেতে পারবে স্কুলে বলল পারব আমি বললাম গিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে জানিও যথারীতি তাই করল । আমি nhs কে কল দিয়ে কোভিট ১৯ টেস্টের বুকিং দিয়ে দিলাম দুপুর ১টায় এর মধ্যে অফিসে ফোন করে জানালাম পাশাপাশি cwu এর হেল্থ এন্ড সেফটি অফিসার চাওয়ান কে ইমেইল করলাম পরেরদিন তাওজুদের নামাজের পর nhs থেকে ইমেইল পেলাম কোভিট পজেটিভ আমার মনোবল খুব শক্ত ছিল কারন আমি বিশ্বাস করি আমার মায়ের দোয়া আছে সব সময় আমার সাথে।আমার স্ত্রী এবং মেয়েরা গেল ট্রেষ্ট করাতে তার পরের দিন জানলাম আমার স্ত্রীরও পজেটিভ কিন্ত আমার স্ত্রীর কফ ছাড়া আর তেমন কিছু হলনা । কিন্ত আমার অবস্হা এমন হল মাথা ব্যাথা প্রচন্ড মনে হল মাথার ভিতর কিছু বাষ্ট হয়ে গেছে ভয়ে চোখ মেলে তাকাইনা রাত হলে দোয়াকরি কবে দিন হবে আর দিন হলে ভাবি কবে রাত হবে পাশাপাশি মুখে কোন টেষ্ট নেই এভাবে কেটে গেল তিন চারদিন ২১ তারিখ থেকে মাথা ব্যাথা একটু কমতে লাগল কিন্ত প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট শুরু হল মনে হল যে কোন সময় মৃত্যে নামক শব্দটিকে আলিঙ্গন করতে হবে এভাবে ২৪ তারিখ পর্যন্ত কেটে গেল ২৪ তারিখ রাত্রে থেকে একটু একটু করে কমতে শুরু হল এখন আস্তে আস্তে ভালোর দিকে আমার মায়ের দোয়া স্ত্রীর সেবা দেশ বিদেশের আত্বীয় স্বজন শুভাকাংখী সকলের দোয়ায় মহান আল্লাহ আমাকে নতুন করে জীবন দান করছেন আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ পাশাপাশি আমার অফিসের সাদা কালো সবার আমার প্রতি আন্তরিকতা আমাকে চির কৃতজ্ঞে আবদ্ধ করে রাখবে।আমার অসুস্হতার সময় দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য শুভাকাংখী কল করছেন, ম্যাসেজ দিয়েছেন তখন আমার সক্ষমতা ছিল না রেসপন্স করার মত সেজন্য আন্তরিকভাবে দু:খীত পাশাপাশি যারা সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্নভাবে আমার সুস্হতা কামনা করছেন আমি সকলের নিকট চির কৃতজ্ঞ ।নতুন বছরে মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকলের সহায় হোন আমিন ।