কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামে অবস্থিত অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ আতাউর রহমানের বাড়ি দখলের চেষ্টা করেছে একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় গ্রামবাসীর প্রতিরোধে দখল চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়।
৬ জানুয়ারি বুধবার ভোরে কুটই মিয়া, মুসলিম মিয়া গং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে। বাড়ির বাউন্ডারী দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তারা। বাড়িতে বসবাসরত ওই সেনা সদস্য ও তাঁর স্কুল শিক্ষক আরেক ভাই মো. আজিজুর রহমান চিৎকার শুরু আশেপাশের গ্রামবাসী এগিয়ে এলে কুটই মিয়া গং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে সকাল থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি সামাল দেয়।জানা যায়, সেনা সদস্য মোঃ আতাউর রহমানের মা মেহেরুন্নেছা বিগত ১০/০৮/১৯৮১ইং তারিখে ৬৩৫৪ নং কবালা দলিলে রেজিস্ট্রারীকৃত সূত্রে মালিক হন। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা মৌজার খরিদা জমিটির এস.এ. ৭৪১, আর.এস. ৯০৩ দাগ এ ক্রয়কৃত জমির অংশ ১৪ শতক। এরপর থেকে এই জমি ভোগদখল করে আসছেন মেহেরুন্নেছা ও তাঁর ৩ ছেলে। তারা হলেন, সেনা সদস্য আতাউর রহমান, স্কুল শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান ছাড়াও আরেক ভাই সরকারী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান। সম্প্রতি কুটই মিয়া এস.এ. রেকর্ডের ভিত্তিতে মৌরশী সূত্রে অংশ দাবি করে দেওয়ানী মামলা দাখিল করেছেন আদালতে। সেই মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান। কিন্তু আদালতে মামলাটি মীমাংসা হওয়ার আগেই কুটই মিয়া জমিটি দখলেন পাঁয়তারা করে আসছেন। এর আগে একাধিকবার এ বিষয়ে শালিস বৈঠক হয়। সকল বৈঠকে আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির অপেক্ষা করতে বলা হয় কুটই মিয়াকে। এরই এক পর্যায়ে গত ৬ জানুয়ারি কুটই মিয়া তার সম্পর্কে ভাতিজা মুসলিম মিয়াসহ সংঘবদ্ধ একটি দল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এবিষয়ে জানতে সরেজমিনে গেলে কুটই মিয়া প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে মাথায় ব্যান্ডেজ পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় তার ছেলে নুমন মিয়াকে। ওই জমিতে তারা বসবাসরত অবস্থায় ছিলেন দাবি করে বলেন, আমরা ওই জমিতে বাস করছিলাম। ৫ জানুয়ারী গভীর রাতে বহিরাগত কিছু ব্যক্তি এসে আমাদের মারধর করে সেখান থেকে বের করে দিয়েছে। এদিকে জমির মালিক মোঃ আতাউর রহমান ও তার ভাই স্কুল শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান জানান, কুটই মিয়া ও তার সহযোগিরা কিছুদিন যাবৎ তাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে। একই এলাকার বাসিন্দা মৃত উস্তার আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা রানু বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছেন ৭ বছর আগে। দুই ছেলে প্রবাসে (কাতার) থাকে। এই কুটই মিয়া আমার বাড়ি দখল করার হুমকি দিচ্ছে। মৌরশী সূত্রে সে আমাদের বাড়ির অংশে মালিক দাবি করে এর আগে কুটই চাঁদা দাবি করেছিলো। আমার ছেলেরা বিষয়টি মীমাংসার স্বার্থে বিচার সালিশের মাধ্যমে কুটইকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলো। এখন আবার হুমকি দিচ্ছে।একই এলাকার রুস্তম আলীর স্ত্রী সাজনা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের জমির কাগজ টিক করে দিবেন বলে কুটই মিয়া ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন আমাদের কাগজ পত্র কিছুই দিচ্ছে না কুটই মিয়া। এবিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় বলেন, ‘ যারা দখল করতে এসেছিলো প্রতিরোধের মুখে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।