কুলাউড়ায় টিকা নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফি আহমদ সলমান-ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী কুলাউড়ায় টিকা গ্রহণে ব্যাপক সাড়া

মাহফুজ শাকিল : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টিকাদান কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। করোনার টিকা নিতে মানুষের আগ্রহটা অনেক বেড়েছে। গত দুই দিন থেকে প্রতিদিন তিন শতাধিকেরও বেশি লোক করোনার টিকা গ্রহণ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার টিকা গ্রহণ করেছেন ৩৪০ জন। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯৬০ জন করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন। পঞ্চম দিনে টিকা নিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শিমুল আলী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মুহসিন, হাসপাতাল ব্যবস্থা কমিটির সদস্য রীমা রউফসহ সরকারী-বেসরকারী অনেক কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা টিকাদান কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলে। টিকা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নুরুল হক, এমওডিসি ডা. নাজমুস সিয়াম রাফি, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ টিকা দানে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীগণ। এর আগে টিকাদান কর্মসূচীর প্রথমদিনে প্রথম টিকা নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. আবু নাসের রাশু, প্রবীণ শিক্ষাবিদ আব্দুল বাছিত চৌধুরী। এরপর একে একে টিকা নিয়েছেন বিআরডিবির চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজলু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ খোয়াজুর রহমান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৌরভ গোস্বামী, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন, কুলাউড়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, কুলাউড়া থানার এস আই কানাই লাল চক্রবর্তী, সনক কান্তি দাস, রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা, থানা পুলিশের সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। বিশেষ করে কুলাউড়া হাসপাতলের সকল চিকিৎসক ও অধিকাংশ সিএইচসিপি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী টিকা গ্রহণ করে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, টিকা নিয়ে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। আমরা সুস্থ আছি। কোনো সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। আপনারা সকলেও নির্ভয়ে টিকা নিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, টিকাদানের জন্য হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় দুটি বুথ রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি বুথে দুইজন দক্ষ টিকাদানকারী ও চারজন করে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কুলাউড়া থেকে ২৫৫০ জনের অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯৬০ জন করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন। প্রথমধাপে সর্বমোট সাড়ে ৫ হাজার লোককে এই টিকা দেওয়া হবে। এদিকে কুলাউড়ার উন্নয়নে যাদের অবদান অপরিসীম, যারা নির্ভীকচিত্তে করোনাকালে আমাদের পাশে ছিলেন তারা আজ কোভিডশিল্ডে প্রথম ডোজ গ্রহণ করলেন। গুজবে কান দিবেন না। মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার কোন বিকল্প নাই। তাই করোনা টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করুন, আপনাদের মোবাইলে এসএমএসে উল্লেখিত সময়ে হাসপাতালে এসে টিকা গ্রহণ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *