প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন মেম্বার নোমান

গত ১৪ ফেব্রুয়ারী দৈনিক যুগান্তর, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এইবেলা, সংবাদ মেইল, সুরমা নিউজসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কুলাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে আগুন দিয়েছে ইউপি মেম্বার শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মুজিববর্ষ উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া হয় ১২টি ঘর। সেই ঘরগুলো প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাজ করি। ঘরগুলোর অবস্থান হাওরের মধ্যে হওয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় এখনো উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়নি বিধায় এখানে কেউ বসবাস করছেন না। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতের কোন এক সময় ১২টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে রাখা জিনিষপত্রে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে ঘরগুলোর দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত জহির আলী পরদিন সকালে ফোন করে আমাকে জানান। আমি গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে পারিবারিক কাজে অদ্যাবধি ঢাকায় অবস্থায় করছি। বিষয়টি আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, পিআইও শিমুল আলী সাহেব এবং আমার এলাকার জনগণ জানেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আমাকে আসামী করে মামলা হলো কি কারণে তা আমার বোধগম্য নয়।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ঘর বরাদ্দ দিয়েছি আমি, ঘর গুলো বরাদ্দ দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র প্রশাসনের, আমার না। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাতে উপকারভোগী খাতেবুন বিবিকে সাথে নিয়ে আমি একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাই। এসময় অন্যান্য ঘরগুলোতে বসবাসরত মানুষের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফযরের নামাযে আসা মুসল্লিরা আমাকে ও উপকারভোগি খাতেবুন বিবিকে পালিয়ে যেতে দেখেন।

আমি ঢাকা থেকে কিভাবে আগুন দিলাম কিংবা কে দেখেছে তার নাম সংবাদে প্রকাশ করা দরকার ছিলো নয়কি? তাছাড়া যেখানে কোন মানুষ বসবাস করেন না তাহলে চিৎকার করলো কারা? এছাড়া ঘরে রাখা জিনিষপত্র পোড়ানোর ছবি প্রকাশ না করে কোন স্বার্থে কাকে খুশি করার জন্য সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার ছবি প্রকাশ করলেন তা আমার বোধগম্য নহে।

আমি রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ২বারের নির্বাচিত মেম্বার। মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমি অত্যন্ত সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করে আসছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই পক্ষ নানাভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।

আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও অপসাংবাদিকতার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

মোঃ নোমান আহমদ
ইউপি সদস্য-১নং ওয়ার্ড-
রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া।


                                                                                           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *