ডেস্ক নিউজ : টিকা কর্মসূচিতে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছে যু ক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত করো নার ভ্যাকসিন পেয়েছেন এক তৃতীয়াংশ মানুষ। এ অবস্থায় ৮ মা র্চ থেকে দেশটিতে খুলতে যাচ্ছে স্কুল। সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার স্কুল পরিদর্শনে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় একবছর পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাই খোলার পর কেমন পরিস্থিতি হবে সেটা দেখতে তিনি এ সফর করেন।
এ সময় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণে যেন মেতে ওঠেন বরিস।
পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কথা হয় ভ্যাকসিন ও আগামী সপ্তাহে স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ সময় দাবি করেন, করো নার যেকোনো ধরনের বি রুদ্ধে তাদের টিকা কার্যকরী।
তিনি বলেন, আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেকটি মানুষই চাইছেন স্কুল খোলার জন্য। সে অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের হাতে ৫০ মিলিয়ন করো নার টেস্টিং কিট আছে, আম রা গণহারে টিকার কাজ যেমন চালাতে পারছি, তেমনি পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবো। টিকার ওপর জনগণের ভরসা বাড়ছে। আমি নিজেও শ ঙ্কার কিছু দেখি না। যে কোনো বৈশিষ্টের কোভিড আম রা রুখে দিতে পারবো।
এদিকে, ব্রিটেনে প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষকে কোভিড-১৯-এর টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি ৯০ হাজার মানুষকে দেয়া হয়েছে এ ডোজ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার নিজস্ব ভ্যাকসিন ছাড়াও মা র্কিন ভ্যাকসিনও দেয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচিতে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে যু ক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এটিকে বিশাল জাতীয় কৃতিত্ব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস কাজের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। মে-জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে এক ডোজ করে টিকা দেয়ার কাজ শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
আর ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৮০ বছর বয়সীদের হাসপাতা লে ভর্তি হওয়ার হার অন্তত ৮০ শতাংশ হ্রাস করে।
ইউরোপে করো নায় সবচেয়ে প্রা ণহানি ঘটেছে যু ক্তরাজ্যে। দেশটিতে অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বৈশিষ্ট্যের করো নাভাই রাসেরও সন্ধান মিলেছে। এতে ভাই রাসটি সেখানে দ্রুত ছড়িয়েছে। তবে গণহারে টিকা কার্যক্রম আশার আলো দেখাচ্ছে।