পান্না বলেন, আমি বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমার স্বামীর পরিচয়, তার সঙ্গে সখ্যতা, আস্তে আস্তে সোর্স হয়ে ওঠার সব কথা বলেছি। মিতু হত্যাকাণ্ডের পর আমার স্বামীর সঙ্গে বাবুল আক্তারের যে কথাবার্তা আমি শুনেছি সব হুবহু বলেছি।
একই সঙ্গে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে দিতে তাদের কাছে অনুরোধ করেছি। পান্না বলেন, মুছাকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার আগের দিন সে বাবুল আক্তারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আমার সামনে কথা বলে। এ সময় সে তাকে বলেন ‘আমি সমস্যায় পড়ে গেছি। আপনার কথায় বিশ্বাস করে কাজ করেছি। আমার পরিবারের কিছু হলে মুখ খুলতে বাধ্য হবো স্যার। এদিকে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পান্না আক্তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কি কারণে জিডি করলেন জানতে চাইলে পান্না আক্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, আসলে ৫ বছর আগেও আমি রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। তখন থানা তা গ্রহণ করেনি। উল্টো এরপর থেকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাই এবার জবানবন্দি দেয়ার পর বিপদের আশঙ্কা থেকে আবার থানায় গিয়েছি। তবে নতুন করে কেউ আমাকে কোনো ভয়ভীতি দেখাননি।