প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে ১৫ মে রাতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন সিলেট মহানগর ছাত্রদল সহ-সভাপতি আবুল হোসেনসহ দুই যুবক। ঘটনার ২ দিন পর কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করার ১৭ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজার জেলা সদরের শাহ মোস্তফা সড়ক থেকে মামলার তালিখাভুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন আসামীকে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করলে ২ জুন বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার এজাহারভূক্ত গ্রেফতার হওয়া তিন আসামী হচ্ছে সিয়াম আলী (১৮), আল আমীন (২২) বেলাল আহমেদ (২২)। উল্লেখ্য যে, ১৫ মে শনিবার রাতে শরীফপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজার থেকে মোটরসাইকে যোগে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে ছাত্রদল নেতা আবুল হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আলফাজ মিয়ার উপর একই এলাকার হাবিবুর রহমান, সজিব মিয়া, সিয়াম, আলআমীনসহ সংঘবদ্ধ চক্র অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে কূপিয়ে মাথা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আবুল হোসেন (৩৬) ও আলফাজ (৩০) এর শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে দ্রুত কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবুল হোসেনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় আলফাজ বাদি হয়ে ১৭ মে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ আসামীদের ধরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে ১ জুন দুপুরে তিন আসামী মৌলভীবাজার শাহ মোস্তফা রোডে বের হলে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় তিন আসামী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। ফলে জেলা ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে তিন আসামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করেছে। বুধবার দুপুরে এই তিন আসামীকে মৌলভীবাজার আদালতে তাদের প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।