কুলাউড়া প্রতিনিধি : করোনার কাছে হার মানা কাতার প্রবাসী সুমন আহমদের জানাযা রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের সময় তাঁর নিজ বাড়িতে অনুষ্টিত হয়। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাযার নামাজে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম শামিম, মৌলভীবাজার জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দি চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক জাফর আহমদ গিলমান, কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছালাম, সমাজসেবক আব্দুল মোহিত বাবলু, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি ও নিউ নেশন প্রতিনিধি এম. মছব্বির আলী, দৈনিক আমার সংবাদ ও সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ এর কুলাউড়া ব্যুরো প্রধান এইচ ডি রুবেলসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী সুমন আহমদ কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা আকল মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, মা, বাবা ও ৪ ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি কাতারস্থ কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসায় সাহায্য সহযোগিতা করতেন। প্রায় ১৮ দিন থেকে সুমন জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভূগছিলেন। স্বাভাবিক সময়ের মতো তিনি স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেন। জ্বর না কমাতে স্থানীয় এক চিকিৎসক উনাকে নিউমোনিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মনে করে ওষুধ দেন আরও ৭ দিনের। কিন্তু অসুখ না কমায় এক পর্যায়ে তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬ জুন তাকে নেয়া হয় সিলেটের উইমেন্স হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। সেখানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট নিয়ে গত এক সপ্তাহ থেকে করোনার সাথে লড়াই করেন প্রবাসী এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সময়ের ব্যবধানে তাঁর অক্সিজেন লেবেল কমতে থাকে। এক পর্যায়ে ৪ জুলাই রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের সময় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
কুলাউড়ায় করোনার কাছে হার মানলেন প্রবাসী সুমন