কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘মরা গোগালি’ ছড়া। ছড়াটির বিভিন্ন জায়গা ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
‘মরা গোগালি’ ছড়া বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে কুলাউড়া পৌরসভা। ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট না করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা শুরু হয়েছে। এর আগে গত বুধবার কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমেদ ‘মরা গোগালি’ ছড়া বাঁচানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া থানার অফিসার্স ইনর্চাজ বিনয় ভূষণ রায়, পৌর সচিব শরদিন্ধু রায়সহ পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্কাউট সদস্যবৃন্দ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছড়াটি পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মাগুরার অংশটি পরিষ্কারও করা হয়েছে। পাশের ভরাট হয়ে যাওয়া অংশটিতে কাজ চলমান আছে।
স্থানীয় মাগুরা এলাকার বাসিন্দা নাজমুল বারী সোহেল বলেন, ‘ছড়াটির জন্য এই এলাকার পরিবেশ অনেক ভালো ছিল। কিন্তু এখন সেই আগের অবস্থা নেই। কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। এক সময়ের খর¯্রােতা উত্তাল ছড়াটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে এটি অন্তত মরা খালে পরিণত হতো না।
স্থানীয় সাহেদ মিয়া বলেন, ‘ছড়াটি অনেক প্রশস্ত ছিল। কলকল করে পানি যেতো। ভরাট আর দখল হয়ে যাওয়ায় এখন এটিকে চেনাই মুশকিল। বর্তমানে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের কারণে দীর্ঘদিনের মরা খালটি জীবিত হলো।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমেদ অবৈধ দখলদারদের দায়ী করে বলেন, এসব লোকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। ছড়াটি খনন ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে স্বেচ্ছাশ্রমে পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভরাট হয়ে যাওয়া নদী, ছড়া ও খাল খনন করাসহ সেগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।