নিজস্ব প্রতিবেদক : কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের ডলুছড়া পুঞ্জিতে পানজুম ও সামাজিক বনায়নে ভূমির দখল নিয়ে খাসি-বনবিভাগের উপকারভোগীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রশাসন নানা পদক্ষেপ নিলেও এখনো খাসিদের অসহযোগিতায় নিষ্পত্তির বিষয়টি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। একদিকে বনের জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ ও অন্যদিকে বনের ভূমি দখল করে পানজুম করায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সরকারি বনভূমি জবরদখল করে তারা বনের ভেতর গড়ে তুলেছে বসতবাড়ি। একেকটি পুঞ্জিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক পান জুম। যারকারণে সরকারি প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
২০০৬ সালে খাসিরা যে পরিমান জায়গা চাষাবাদ করত বর্তমানে এরচেয়ে দেড়গুণ বেশি জায়গায় পান জুম চাষাবাদ করছে। বনাঞ্চল দখল করে খাসিরা পান চাষের নামে নির্বিচারে উজাড় করছে বন। হুমকির মধ্যে রয়েছে জীববৈচিত্র্য। এ বন রক্ষা করতে একাধিক বার হামলার শিকার হতে হয়েছে বন বিভাগের কর্মী ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের। সৃজিত বনায়নের একেকজন উপকারভোগীর ওপর ৫-৭টি করে মামলা করেছে খাসিরা। বন উজাড়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো অদৃশ্য কারণে রয়েছে নির্বিকার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের সাথে খাসিদের বিরোধ দেখা দেয়। সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের সাথে খাসিদের বিরোধের সূত্রপাত ঘটে রোশনাবাদ মৌজার ছোট কালাইগিরি নামক স্থানের ৬৫ ও ১০৫ দাগের সরকারি বনভূমির পতিত ১০ হেক্টর জায়গা নিয়ে। মুরইছড়া বিটের অধীনে ৩টি মৌজায় প্রায় ৩৪৬১.১৪ একর ৪ ধারা ও একোয়ার্ড ফরেস্ট বনভূমি। এরমধ্যে বিভিন্ন সময়ে খাসিরা ২৪৭৬.৪৮ একর জায়গা দখল করে নিয়েছে। এই জায়গা দখল করে পান চাষে নামে গাছের ডালপালা উজাড় করে বিরানভূমিতে পরিণত করেছে। অবশিষ্ট ৯৮৪.৬৬ একর জায়গায় বাঁশ মহাল ও প্রাকৃতিক বনায়নের অংশের জায়গা দখল করতে চায় খাসিরা।
মুরইছড়া বিটের রোশনাবাদ মৌজার ১০৫ নং দাগে মোট ২৮৬ একর। এ দাগের মোট ১৪৬. ৫ একর ভূমি স্থানীয় পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির লোকদের কাছ থেকে ফারকমূল্যে (রশিদ) এর মাধ্যমে প্রাপ্ত হন পুঞ্জির তৎকালীন হেডম্যান রোসবেল রাঙসাই। কিন্তুু জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর সরকার এ ভূমি অধিগ্রহণ করে বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে এ ভূমি নিয়ে রোসবেল খাসিয়া ১৯৯৯ সালে মৌলভীবাজার সাব-জজ প্রথম আদালতে স্বত্ত (মামলা ২৬/৯৯) দায়ের করেন। মামলায় সরকারের পক্ষে রায় ও ডিক্রি হয়। রোসবেল এই রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জেলা সাব জজ আদালতে স্বত্ত আপিল মামলা দায়ের করেন (৬৭/২০০৮)। যার রায় ও ডিক্রি রোজবেল খাসিয়ার পক্ষেই আসে। এ রায়ের বিরুদ্ধে বনবিভাগ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ২০১১ সালে জেলা জজ আদালতে রিভিউ (৪৪/২০১০) দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা চলমান আছে।
১৯৯৯ সালের করা সেই মামলায় রোসবেল উল্লেখ করেছেন তার পূর্ব পুরুষ (দাদা) ১৯৫২ সাল থেকে এই জায়গায় বসবাস করছেন। অথচ চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সরেজমিন ডলুছড়া পুঞ্জিতে গেলে তাঁর সাথে আলাপকালে রোসবেল বলেছেন, ১৯৮৭ সালে এই ডলুছড়ায় তারা বনের জমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরি ও পানজুম করেছেন। এর আগে তারা বেলকুমা পুঞ্জিতে বসবাস করতেন।
২০১১ সালে এই বিরোধীয় রোশনাবাদ মৌজায় ১৫২ ও ১০৫ দাগের মোট ২৬০ একর ভূমিতে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনায় মামলা (নং-১১৮/২০১১) এর মাধ্যমে স্থিতাবস্থা আছে। ঘটনাক্রমে পাহাড় রক্ষার স্বার্থে ১৯৯৭ সালে কর্মধা ইউনিয়নের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান নজিব আলীর মধ্যস্থতায় খাসিদের হেডম্যানদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি (স্থানীয়) সম্পাদন হয়। চুক্তির মুল উদ্দেশ্য ছিলো খাসিরা পাহাড়ের ভেতরে প্রবাহমান স্থানীয় ফানাই নদী অতিক্রম করতে পারবেনা এবং লিজপ্রাপ্ত ১৪৬ একর জায়গার বাইরে যেতে পারবেনা বা ভোগ দখলে নেবেনা।
কিন্তু বর্তমান ম্যাপে দেখা যায়, ওই চুক্তি লঙ্ঘন করে খাসিরা ফানাই নদী অতিক্রম করে ৪/৫ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পাহাড়ের পতিত জায়গা জবর দখল করে ডলুছড়া পান পুঞ্জি গড়ে তুলেছে। বর্তমানে আরও ৩/৪ কিলোমিটার ভেতরে সামাজিক বনায়নে বাধাগ্রস্ত করছে খাসিরা। ২০০৬ সালে যে পরিমান জায়গায় জুম চাষাবাদ করত বর্তমানে এর চেয়ে দেড়গুণ অধিক জায়গায় জুম চাষাবাদ করছে। এদিকে রোশনাবাদ মৌজায় খাসিদের দখলকৃত ভূমির বাইরে অবশিষ্ট জায়গার মধ্য ২৫ একর জায়গায় বন বিভাগ ২০২০-২১ সালে সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু করে। এতে খাসিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বনায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। বনায়ন করার পর ১০ হেক্টর জায়গায় ডলুছড়া পুঞ্জির বর্তমান মন্ত্রী লবিং সুমেরের নেতৃত্বে প্রায় ২৭ হাজার গাছের চারা উপড়ে ফেলে খাসিরা। এতে বনায়নের প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা। এ ঘটনায় গত ১০ আগষ্ট কুলাউড়া থানায় মামলা দেয় বনবিভাগ। যার কারণে বনায়নের উপকারভোগী ও খাসিদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কাঠালতলী বাজারে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক সম্প্রীতি সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী চলা সমাবেশে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কিছু ঘটালে বাঙালী উপকারভোগী-খাসিদের কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করেন। সাথে সামাজিক বনায়ন সঠিকভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ৭ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে দেন।
সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, রাষ্ট্রকে কখনো চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতে বিশ^াসী নয়। আমরা সম্প্রীতিতে বিশ^াসী। উপজেলা প্রশাসন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে, এদের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, লংলা পাহাড়ে ১০৫ নং দাগের মোট ২৮৬ একর জায়গার ১৪৬ একর নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। বাকী ১৪১ একর জায়গার ছোট কালাইগিরি ১০ হেক্টর (২৫ একর) জায়গায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সামাজিক বনায়ন চলবে স্থানীয় খাসি ও বাঙ্গালিদের নিয়ে। এতে খাসিরা কোন বাধা দিতে পারবে না। আর খাসিয়ারা সমতলে আসার পথে বাঙ্গালীরা বাধা দিতে পারবেনা। এমন কিছু হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, কুলাউড়ার ইউএনও, সার্কেল এসপি, ওসি, স্থানীয় চেয়ারম্যান, রেঞ্জার, আদিবাসী প্রতিনিধি, সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের প্রতিনিধি একজন সামাজিক বনায়নের ভালো মন্দ সিদ্ধান্ত দিবেন।
সমাবেশে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কুলাউড়া উপজেলার বনাঞ্চলে আগে বাঁশ ছিলো। সেই বাঁশের পরিবর্তে এখন আছে পান। এখন আর বাঁশ নেই, মহালও নেই। ৪টি বাঁশ মহাল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খাসিরা আইন অমান্য করে এবং বিভিন্ন ধরণের জাল-জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে ছোট কালাইগিরি ও বড় কালাইগিরির প্রাকৃতিক বাঁশ মহাল বিনষ্ট করে পান লাগিয়ে এ সকল ভূমি জবর দখল করে রেখেছে। এসকল বাঁশ মহাল থেকে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৬ লক্ষ বাঁশ ১২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ও ২০০৭ সালে ১৭ লক্ষ বাঁশ ৭৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। সামাজিক বনায়নেও আসছে বাঁধা। বর্তমানে এই দুইটি বাঁশ মহালের মাত্র ৩৫০/৪০০ একর ভূমি অবশিষ্ট আছে। এ ভূমিতেও খাসিরা জবরদখল করার পাঁয়তারা করছে। তবে সরকার ‘সিলেট বনবিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী হারিস মিয়া, রফিক মিয়া, হারুন মিয়া, বশির মিয়া, ইসরাইল আলী, আব্দুল মালিক, চিনু মিয়া, ফারুক মিয়া, কণা মিয়াসহ অন্তঃত ২৫জন উপকারভোগী বলেন, লংলা পাহাড়ের ডলুছড়া এলাকায় ২০১১-১২ সালে একটি বাঁশ বাগান করা হয়েছিল। সেটি খাসিরা জবরদখল করেছে। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ বাগান করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, খাসিয়ারা দুটি বনায়ন তাদের দখলে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলা দিয়ে উপকারভোগীদের হুয়রানি করছে। সম্প্রতি ডলুছড়ায় যৌথ জরিপ করে খাসিয়াদের দখলে প্রায় শতাধিক একর ভূমি পাওয়া গেছে, সেই ভূমিটি এখনও তাদের দখলে রয়েছে। এছাড়া খাসিয়ারা বিজ্ঞ আদালতে তাদের মনোনীত আইনজীবিকে দিয়ে ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের জায়গা মামলা দিয়ে তাদের দখলে নিচ্ছে এবং সেই ভূমিতে পান চাষ করছে। কিন্তু আমরা বস্তির লোকেরা সরকারের সাথে চুক্তি করে সামাজিক বনায়ন করার মধ্য দিয়ে এই এই পাহাড়কে রক্ষার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এখন যদি সামাজিক বনায়ন কাজ বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে আমরা শত শত উপকারভোগীরা জীবিকা নির্বাহ থেকে বঞ্চিত হবো। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এই পাহাড় রক্ষা করতে হলে খাসিদের ভূয়া কাগজাদি সঠিকভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সরকার ও বিজ্ঞ আদালতের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। তাহলেই সরকারি ভূমি রক্ষা করা সম্ভব হবে। এবং সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন করা হবে।
আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠন (কুবরাজ) সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং জানান, বংশপরম্পরায় ঐতিহ্য ও প্রথা অনুযায়ী খাসিরা বনে পান চাষ করে খাসি জনগোষ্ঠী জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বন বিভাগ সামাজিক বনায়ন করুক, এটা আমরাও চাই। পাহাড়ের জমি বনভূমির হলেও আদিকাল থেকে বসবাস করা জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করা যায় না। বর্তমানে আমাদের মূল সমস্যা হলো ভূমি। সামাজিক বনায়নের নামে আমাদের ভূমিতে থাকা পানজুমগুলো দখল করার চেষ্টা চলছে। আমরা বাঁধা দিচ্ছি বলেই আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।
মুরইছড়া বন বিট কর্মকর্তা অর্জুন দস্তিদার জানান, বনাঞ্চলের পুরোটাই বাঁশ ও গাছপালায় ভরপুর ছিলো। কিন্তু খাসিরা পুরো বনকেই উজাড় করে ফেলেছে। সামাজিক বনায়নের বিধিমালায় আছে সাধারণ জনগণ বনাঞ্চল রক্ষা করবে। দেশের সম্পদ পাহাড় রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সব সময়ই পাহাড়ের বাঁশ ও গাছ কেটে পানজুম করার প্রতিবাদ করেছি।
কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৩দফা বৈঠকের পর বিরোধপূর্ণ ডলুছড়া পুঞ্জির দখলীয় ভূমি জরিপ করে পরিমাণ দেখার প্রয়োজন হয়। গত ৯ নভেম্বর বনবিভাগ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং খাসিদের পক্ষের সার্ভেয়ারের সমন্বয়ে যৌথ জরিপে মোট ৩৫৫ একর ভূমি রোসবেলের দখলে পাওয়া যায়। অথচ ১৯৯৯ সাল থেকে পরিচালিত রোসবেল খাসিয়ার মামলায় ভূমির পরিমাণ ২৬০ একর এবং স্থিতাবস্থা ২৬০ একরে আছে। পরিমাপে দেখা যায় রোসবেল খাসিয়া গং আদালতের স্থিতাবস্থা অমান্য করে অতিরিক্ত কমপক্ষে ৯৫ একর ভূমি জবরদখল করেছে। বনবিভাগ সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এ সকল ভূমি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বিরোধপূর্ণ ভূমিতে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাসি ও বাঙালিদের নিয়ে স্বমন্বিতভাবে জরিপ কাজ চালিয়েছি। প্রতিবেদন সম্পন্ন করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করবো।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, বনায়ন নিয়ে খাসি ও বাঙালিদের বিরোধ নিষ্পত্তিতে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি প্রতিবেদন দিলে তার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় এলাকার সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন মনে করছেন, সরকার সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারপূর্বক এসডিজি অর্জনে যেখানে কর্মসূচী গ্রহণ করছে সেখানে খাসিরা বনভূমি জবরদখল করে পান চাষ করার প্রচেষ্ঠায় অব্যাহত রেখেছে। এসকল খাসি জনগোষ্ঠী কি আইনের উর্দ্ধে?