কুলাউড়ার ইউএনওর হস্তক্ষেপে উর্মি পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সনদ

এইচ ডি রুবেল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী রাওশন জাহান উর্মির বাবার বার্ষিক আয়ের সনদ আটকে রাখছিলেন কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিন। জানা যায় কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান কুলাউড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালিকের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধাতালিকায় ৩০তম স্থান অর্জন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নিয়ম অনুযায়ী ভর্তির জন্য বাবার বার্ষিক আয় এর সনদ প্রয়োজন হয়।

২২ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর ভাই মোঃ আলমগির সিদ্দিক কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের বাবার বার্ষিক আয়ের সনদ আনতে গেলে সচিব বলেন এই শিক্ষার্থীর বাবার সাথে ব্যাক্তিগত ঝামেলা থাকায় তিনি সনদ দিবেন না এবং সচিব বোরহান উদ্দিন আলমগীরের কাছে বার্ষিক আয়ের সনদের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে এই শিক্ষার্থীর সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীর বাবার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কি হয়েছে সেটা পরে দেখাযাবে প্রথমে আমার শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধান চাই তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীর বাবার বার্ষিক আয়ের সনদ প্রদান করার জন্য ইউপি সচিবকে বলেদিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তার বাবা মায়ের স্বপ্ন মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা করে ভালো কিছু করার। হয়তো এই সনদের কারনে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো । আমি এ বিষয়ে শুনার সাথে সাথে সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি তাড়াতাড়ি সনদ দিতে, আমার উপজেলায় যে কোনো কারনে কোনো ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা না হয় আমরা সব সময় নজর রাখছি।

কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিনের উপর আরো নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। নাগরিক সনদের জন্য আবেদন করলে অতিরিক্ত হারে টাকা দাবি করে থাকেন। সাধারণ নিরীহ নাগরিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হয়। তাছাড়া কেউ যদি সনদের অতিরিক্ত ফি দিতে রাজি না হয় তাহলে সচিব সনদ আটকে রেখে টাকা আদায় করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *