বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও দৈনিক কালের কণ্ঠ শুভসংঘ জুড়ী উপজেলা শাখার আয়োজনে জুড়ীতে ২৫০ শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় স্থানীয় জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিতাংশু শেখর দাসের সভাপতিত্বে ও শুভসংঘ জুড়ী শাখার সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শামীম আল মামুন, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তারা, বিশিষ্ট সমাজসেবক অপূর্ব কান্তি ধর, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল প্রমুখ। এসময় শুভসংঘের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য তাকবীর হোসাইন মান্না, শরীফ মাহদি আশরাফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম শুভ, কুলাউড়া শুভসংঘের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিদা আক্তার সেবিন, জুড়ী শুভসংঘের সদস্য মৃদুল ঘোষ, লিটন চক্রবর্তী, সম্রাট, মাসুম, মুস্তাফিজ, জয়ন্তী, সুপ্রিয়া, অয়িমন, মুক্তা, আসিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের প্রতিষ্ঠান কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে সেটা গণমাধ্যমে দেখে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার উপজেলার ২৫০ মানুষকে কম্বল দেয়া হলো। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মানুষগুলেকে অন্তঃত শীতের মধ্যে আর কষ্ট করতে হবেনা। বসুন্ধরার এমন মানবিক কার্যক্রমকে জুড়ী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।
বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল হাতে পেয়ে জুড়ীর বাসিন্দা ফাতেমা বেগম (৫৫), সালমা বেগম (৪৫) বলেন, আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি। স্বামীরা রিকশা চালিয়ে কোনমতে সংসার চালাচ্ছে। শীতের কম্বল কেনার কোন সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়েছে। বসুন্ধরার দেয়া এই শীতবস্ত্র পেয়ে এখন শীতের তীব্র কষ্ট থেকে কিছুটা রক্ষা পাবো।
এছাড়া রমজান আলী (৬৫) ও হারিছ মিয়া (৬০) নামে দু’জন ব্যক্তি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমরা বসুন্ধরার মালিকের জন্য মন খুলে দোয়া করি। এই শীতের সময় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা তিনি চিন্তা করেছেন। তিনি যেন সবসময় ভালো থাকেন, আল্লাহ পাক উনার মঙ্গল করবেন।