তমাল ফেরদৌস : একজন জনপ্রতিনিধি, একজন রাজনীতিবিদ, একজন পৌরপিতা। যার সুচিন্তিত চিন্তা-ভাবনা আর পরিকল্পনায় মৌলভীবাজার শহর আধুনিক শহরে পরিণত হচ্ছে। তিনি পৌর নাগরিকের যে-কোনো সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। তাঁর পজিটিভ কর্মকান্ডের কারণে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী হন। মৌলভীবাজারবাসী আশা আকাঙ্কার প্রতিফলন দেখেন এই মেয়রের চোখে।
এবার তিনি রিকশাচালকের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করলেন প্রথম যাত্রী হয়ে। পৌর জনমিলন কেন্দ্রে তিনি রিক্সায় চড়ে কিছুটা পথ গেলেন। প্রথম যাত্রী হিসেবে মেয়রকে পেয়ে রিক্সাচালক ও খুশি। তিনি হলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমান। ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ফজলুর রহমান নিজের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনার কারণে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন।
প্রথম মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মৌলভীবাজার শহরকে আমুল পরিবর্তনে নেমে যান। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পৌরসভার প্রয়োজনীয় উন্নয়ন তাঁর হাত ধরে এগুতে থাকে। রাস্তাঘাট প্রশস্থ করতে গিয়ে দিনের পর দিন দেশ বিদেশে বসবাসরত এলাকার নাগরিকদের সাথে কথা বলেছেন, তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন সফলতা। এখন শহরের বেশিরভাগ রাস্তাই প্রশস্থ আর চলাচল উপযোগী।
তিনি মৌলভীবাজার শহরবাসীর দুঃখ কোদালীছড়াকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে এই ছড়াতে নৌকা চালান। এরপর এই ছড়াকে উন্নত বিশ্বের আদলে রূপ দিতে একের পর এক পরিকল্পনা শুরু করেন। একসময় তিনি সফলতা পান। এখন ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কোদালীছড়ার কাজ চলছে।
তিনি মনু নদীর পাড় ঘেঁষে নির্মাণ করছেন একটি অত্যাধুনিক পার্ক। শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন একটি পার্ক নির্মাণের কাজ ও চলছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যে নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, সুসজ্জিত বাতির কাজ চলছে। যা মৌলভীবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের কাম্য ছিল। মেয়র হিসেবে তিনি মৌলভীবাজার শহরের বেরী লেইককে নিয়ে এখন পরিকল্পনা করছেন। রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে তিনি এই লেককে তৈরী করতে চান। ইতিমধ্যে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ যারাই মৌলভীবাজারে আসেন, তিনি তাঁদেরকে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলেন। স্ব-উদ্েযগে স্থানটি পরিদর্শন করান অতিথিদের।
ইতিমধ্েয তাঁর প্রথম মেয়াদে শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে নির্মিত হয়েছে প্রবীনাঙ্গন। এখন সকাল বিকেল শুধু প্রবীন নয় সব বয়েসী নারী পুরুষদের পদভারে মুখরিত থাকে এই প্রবীনাঙ্গন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি কুঁড়িয়ে নিয়ে এসেছেন বহু দুর্লভ প্রজাতির ফুলের গাছ। যা দর্শনার্থীদেরকে বাড়তি আনন্দ দেয়।
সদা হাসোজ্জ্বল ও নম্র ভদ্র এই মানুষটি জনগনের জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের সাথে তাঁর সখ্যতা। ঠান্ডা মেজাজের এই মানুষটিকে কেউ কখনো রাগ করতে দেখেনি। তাইতো মন খুলে পৌর নাগরিকরা তাঁর কাছে আবদার করে। তিনি ও হাসীমুখে সমস্যার সমাধান করতে সর্বদা হাসীমুখে এগিয়ে আসেন।
তাইতো শহুরে নাগরিকরা তাঁর হাত ধরে এই শহরের এগিয়ে যাওয়ার গল্প বুনতে চান, দেখতে চান একটি অত্যাধুনিক শহর। যা দেশের মধ্েয উদাহরণ হয়ে থাকবে।