উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব বাংলাদেশ তথা শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে-পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

বিশেস প্রতিনিধি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, বিশ্বের সকল দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে। কারণ শেখ হাসিনা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর গরীবের দেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের নাম। দেশে মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিভিন্ন ধরনের ভাতার বিষয়টি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে সম্ভব হত না। আজ ১৪ মার্চ সোমবার) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় বিশেষ
অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে চলেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর অংশ হিসেবে জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধুর নামে সাফারি পার্ক এবং মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে কেবল কার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলার উন্নয়নের অংশ হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মনুু নদীর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ নদী খনন ও তীর বাধাই কাজ শুরু হবে, শাহবাজপুর-কুলাউড়া রেল লাইনের কাজ চলমান আছে। চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি এসময় মৌলভীবাজারে একটি মেডিকেল
কলেজ এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমাননের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান বক্তার বক্তব্যে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হানিফ এমপি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক সাংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস‍্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মসুদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মো রফিকুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল
ইসলাম নাহিদ এমপি বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবেনা। অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। ২১টি বছর এই দেশকে উল্টো পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ওই সময় বেঁচেছিলেন বলেই তিনি আজ দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তাই এখন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানুষের কাছে গিয়ে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দেয়ার দাবি জানাতে হবে এবং নির্বাচনের
প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জামাত-বিএনপির লোকজন দেশের মানুষকে অশান্তিতে রাখতে চায়। এদের রুখতে হলে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী দল হিসেবে তৈরি করতে হবে। এই সরকারের আমলে দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে। এছাড়া যারা ঠিকানাবিহীন ভাবে রাস্তায় ঘুরাফেরা করে দিনযাপন করতো সেই সকল ৩০ লাখ মানুষকে মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের উন্নতি দেখে পৃথিবীর অনেক দেশ আজ
ইর্ষান্বিত হচ্ছে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, এই স্বাধীন রাষ্ট্রের একমাত্র দাবিদার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু
অর্থনৈতিক মুক্তির আগেই তাকেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে চক্রান্তকারীরা। সেই চক্রান্তের পেছনে কাজ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান দেশকে উল্টো পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততদিন দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিএনপির নির্বাচন করার কোন সক্ষমতা নেই। কারণ বিএনপির চেয়ারপার্সন দূর্নীতির দায়ে জেলে ছিলেন কিন্তুু আদালতের দয়ায় তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় আছেন। আর তাঁর ছেলে দূর্নীতিবাজ তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত হয়ে
বিদেশে পলায়ন করে। তিনি দলের জেলা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নতুন করে বিএনপি-জামাত থেকে লোক এনে আওয়ামীলীগের পাল্লা ভারী করার প্রয়োজন নেই। এই মনমানসিকতা যাদের কাছে আছে তারা সেটা পরিহার করতে হবে। জেলার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আগামী মে মাসের মধ্যে কাউন্সিল শেষ করতে হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *