কুলাউড়ায় বন্যপ্রাণীর ১০ দিনের প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলায় ১০ দিনব্যাপী বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ১৬ মার্চ বুধবার কুলাউড়া হর্টিকালচার সেন্টার নার্সারি তত্ত্বাবধায়কের সেমিনার হলে ‘বন্যপ্রাণী আবাসস্থল ও বনভূমি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক’ এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেট (সদর দপ্তর-মৌলভীবাজার)। এতে ফরেস্টার, বন প্রহরী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে- ওই একই বিষয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বনবিভাগের সংশ্লিষ্টরা সম্প্রতি কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। ওই প্রশিক্ষণের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের অবগত করা হয়।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই তালিকা থেকে পছন্দের ব্যক্তি রেখে বাকিদের বাদ দেওয়া হয়। এতে করে এই তিন উপজেলায় সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ একে দায়সারা প্রশিক্ষণ বলেও অভিহিত করেছেন।

জানতে চাইলে ১৭  মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি কুলাউড়ার দুইজন সাংবাদিককে চিনি, সাংবাদিকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। স্বজনপ্রতি বা অনিয়ম করলে তারা করেছে, সময় স্বল্পতার কারণে তোদের দেয়া তালিকা আর যাচাই-বাচাই করা সম্ভব হয়নি। এটা আসলেও একটা মিস্ট্রেক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *