জুড়ীতে উচ্ছেদের বছর যেতেই নদী দখল শুরু

মনিরুল ইসলাম : জুড়ী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার “মরা জুড়ী নদী” দখলমুক্ত করার পর আবারো দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। কামিনীগঞ্জ ও ভবানীগঞ্জ বাজারের সংযোগ ব্রীজের নিচের অংশ দখল করে টিনশেডের বেড়া ও নিচ পাকা করে স্যানিটারী দোকান নির্মাণ করেছেন এক ব্যবসায়ী। এতে নদী দখলের পাশাপাশি বাজারের পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ নদীর প্রায় ১০ একর জায়গা দখল মুক্ত করা হয়। দখলমুক্ত করার পাশাপাশি প্রায় ৮০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু বর্তমানে নজরদারির অভাবে এ নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে দূষণ করার পাশাপাশি নতুন করে দখলের পাঁয়তারা চলছে। বেশ কয়েকমাস যাবদ এ ব্যবসায়ী নদীর জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করলেও কারো চোখই যেন পড়ছে না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী দখল মুক্ত করে নদীর পাড়ে একটি রাস্তা করে দিয়েছেন। মূলত এ রাস্তাটি দখল করে ব্রীজের নিচের অংশে দোকান নির্মাণ করে মালামাল রেখে ব্যবসা করছেন আবুল খায়ের স্টীল হাউজের স্বত্বাধিকারী আবুল খায়ের। দোকানের চারপাশে রয়েছে টিনের বেড়া ও নিচের অংশটিও রয়েছে পাকা। এছাড়াও নদী পাড়ের খালি অংশে বিভিন্ন মালামাল রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আবুল খায়ের স্টীল হাউজের স্বত্বাধিকারী আবুল খায়ের মুঠোফোনে নদীর জায়গা দখল করে টিনের বেড়া ও নিচ পাকা করে দোকান নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বিগত ২/৩ মাস যাবদ এ জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছি। মার্কেটের মালিক দোকান বানিয়ে দিলেই এটা ভেঙে ফেলব। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী দখলের সত্যতা পাই। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নদীর এ অংশটি দখলমুক্ত করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছি। নদীর এ জায়গাটি দখলমুক্ত করা হবে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *