ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হাইকোর্ট থেকে মিছিল বের করে। ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষ বাঁধলে ছাত্রদলের নেতা- কর্মীরা বাঁশ কাঠ নিয়ে অবস্থান নেন কিছুক্ষনের জন্য হাইকোর্ট গেটের সামনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সংঘর্ষে ছাত্রদলের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদলের নেতাদের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ৩০ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রদলের মিছিলের উপর ছাত্রলীগের এক কর্মী কোমর থেকে কিছুক্ষন পর পর অস্ত্র বের করে ছাত্রদলের উপর তাক করে গুলি করে আবার কোমরে অস্ত্র টি লুকিয়ে রাখে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বাঁশের লাঠি, কাঠ, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ও হেলমেটে সজ্জিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে।
ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের সদ্য মনোনীত হল নেতারা হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের নেতৃত্ব দেন।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হঠাৎ আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলায় আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়।’
ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রদলের কর্মীদের লাঠিপেটা ও গুলি চালায় বলেও জানান তিনি।
ছাত্রদললের আহত নেতারা হলেন- শাহাবুদ্দিন (৩০), আহাদ (২৬), এহসান (২১), সাব্বির (২৭), প্রীতম (২১), স্বপন (২২) ও অন্তু ২৬।

বৃহস্পতিবার ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

তাদের মধ্যে শাহাবুদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বিষয়টি অবহিত করেছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

—ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *