জুড়ী প্রতিনিধি: ভারতের বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে কুটক্তি করাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলাদেশে চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারদিকে যখন চলছে আন্দোলন ঠিক সে মুহূর্তে ভারতের নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আশিষ রঞ্জন দাশ নামের এক কলেজ ছাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। এ নিয়ে উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
আশিষ দাশের পোস্ট কে কেন্দ্র করে উপজেলায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে হিন্দু মুসলমান দের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করেন উপজেলার
পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনফর আলী।
ধর্মীয় ক্ষোভ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সোমবার রাত ৯টায় ৩নং পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মণির সঞ্চালনায় ও ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলীর সভাপতিত্বে এক ধমীর্য সম্প্রীতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ভবানীগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা লিয়াকত আলী খাঁন, জাঙ্গীরাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শফিকুল ইসলাম, জুড়ী জামেয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা তুফাজ্জল হক, মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুস শহিদ, ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল মোদক, সাধারণ সম্পাদক সিতাংশু শেখর দাশ, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি হরিপদ দে, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন, মদন মোহন দাশ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি লুৎফর রহমান আজাদী, উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান বিধান দাশ বাদল, ব্যবসায়ী মাহবুব আলম জলিল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জুড়ীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ বিষয়টি কে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনফর আলী কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে চেয়ারম্যানের সাহসী প্রদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে অভিযুক্ত আশিষ দাশ তার ভুলের জন্য জুড়ী উপজেলা তথা সমগ্র মুসলমানদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গর্হিত কাজ করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেন।