এজেন্ট ব্যাংকিং ওনার্স এসোসিয়েশনের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ; বাংলাদেশ এজেন্ট ব্যাংকিং ওর্নাস এসোসিয়েশনের বিশেষ সভা আজ রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোমিক রির্পোটার ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এজেড এম শামসুল আলম। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ মুরাদ হোসেন, চট্টগ্রামের ফরিদুল আলম বিরামপুরের রফিকুল ইসলাম, ভৈরবের সামিউজ্জামান সহ সারা দেশের এজেন্ট ব্যাংক মালিকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে এক বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড.এম এম আবদুল হাই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা গত ৭-৮ বছর আগে সারা দেশে তৃণমুল পর্যায়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে ছিলেন তা ভেস্তে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে এজেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্স দিলেও বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো তাদেরকে সেভাবে সহায়তা করছে না। এক একটি এজেন্ট ব্যাংক ব্রান্স বা শাখা ৫-৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেও মাস শেষে তাদের কোন আয় থাকছে না। প্রতি মাসে তারা ভর্তুকি দিয়ে চলছেন। বাণিজ্যিক ব্যাংক কমিশন থেকেও কমিশন কেটে নিচ্ছে তারা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় তারা তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের সহায়তা কামনা করেছেন।

তারা বক্তারা বলেন এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং সিস্টেমে সমগ্র বাংলাদেশে ৩০ লক্ষাধিক লোকের কর্ম সংস্থান সম্ভব। কিন্তু অনেক ব্যাংকের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যেও কারণে অনেক এজেন্ট আজ লোকসান বহনের ভারে দিশেহারা। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনে ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বিভিন্ন শক্তিশালী তফসীলি ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং এ মফস্বলের আমানতের অনুকূলে ১০ শতাংশও ঋণ দিচ্ছেনা কোন কোন ব্যাংক মোটেও ঋণ না দিয়ে এজেন্টদেরকে লোকসান করাচ্ছে। অথচ এজেন্ট ব্যাংকিং এ বিগত আট বছরে দুই কোটির অধিক গ্রাহক তৈরী হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ব্রাজিলসহ বিশ্বেও কয়েকটি দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। আর বাংলাদেশে সেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০১৪ সালে। এখন ২৪টি ব্যাংক এই সেবা দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *