কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার :

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে পানিবন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সেই পানিবন্দি মানুষদের পাশে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন। ২৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নিতে সরেজমিন হাকালুকি হাওর এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এসময় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষদের সাথে কথা বলেন তিনি। এছাড়া প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষদের মধ্য শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের মাঝে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার ত্রাণ বিতরণ, শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুর জন্য গো-খাদ্য খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ভূকশিমইল স্কুল এন্ড কলেজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘাটের বাজার শেড ঘর আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্ত মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। ২৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ভুকশিমইল ইউনিয়নের ভুকশিমইল স্কুল ও কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র, কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ও ঘাটেরবাজার শেড আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া দূর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে শুকনো খাবার তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমেদ সলমান,

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডা: ফেরদৌস আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেহেদী হাসান, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: জাকির হোসেন, পিআইও মো: শিমুল আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: মহসীন, ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, সিনিয়র সাংবাদিক এম. মছব্বির আলী, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিন,  উপজেলা স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ, মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বাবুসহ কুলাউড়া সহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

শুকনো খাবারের মধ্যে ছিলো ২০০ প্যাকেট চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, ১০০ প্যাকেট স্যালাইন, চাল ১০ কেজি, মসুর ডাল ১ কেজি, আয়োডিন লবন ১ কেজি, ভোজ্য তেল ১ লিটার, লবন ১ কেজি, মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুড়ো, ধনিয়া গুড়ো ১ প্যাকেট,  শিশু খাদ্য ৪০ প্যাকেট, চিনি গুড়া চাল ১ কেজি, দুধ ২০০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, সাগু ৫০০ গ্রাম, সুজি ৫০০ গ্রাম, মসুর ডাল ২৫০ গ্রাম, সয়াবিন তেল ১ লিটার,  গো-খাদ্য ৪০ প্যাকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *