দুই ভাগে বিভক্ত বিএনপি-বেতাগীতে ১৪৪ ধারা জারি

বেতাগীতে বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ১৪৪ ধারা জারি প্রশাসনের বরগুনার বেতাগীতে একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মী সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে উপজেলা বিএনপির দু’টি পক্ষ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। রবিবার (০৩ জুলাই) দুপুর আড়ইটায় উপজেলার পৌর শহরে মাইকিং করে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রচার করা হয়। ইউএনও মো. সুহৃদ সালেহীন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় একই সময় ও কাছাকাছি স্থানে বিএনপির দু’টি পক্ষ কর্মী সভা আহ্বান করেছে। তাই সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে বলে প্রশাসন মনে করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার পৌর শহরের আশপাশের এলাকায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সূত্র জানায়, বরগুনা জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুটি পক্ষ জেলা বিএনপি নেতাদের নিয়ে রবিবার (৩ জুলাই) বিকেলে কর্মী সভা করার প্রস্তুতি নেয়। কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবত স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্য চলছিল চরম উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনা। এর প্রেক্ষিতে সদ্য বিলুপ্ত পৌর বিএনপির কমিটির আহবায়ক মো. হুমায়ূন কবির মল্লিকের নেতৃত্বে রবিবার বিকেল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ে এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে পৌর শহরের পুরাতন ডাক বাংলায় বিকেল সাড়ে ৫ টায় দুটি কর্মিসভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মী সভায় বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহাবুব আলম ফারুক মোল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এতে আইন শৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা থাকায় প্রশাসন রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। এ বিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত পৌর বিএনপির কমিটির আহবায়ক মো. হুমায়ূন কবির মল্লিক বলেন, রবিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি পূর্ণগঠনের জন্য আমাদের কর্মী সভা ছিল। কিন্তু বিএনপির বহিষ্কৃত একদল নেতা কর্মীরা শহরের পুরাতন ডাক বাংলোর সামনে পৃথক সভা করতে মঞ্চ তৈরি করে। প্রশাসন সেটি দেখে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ওই পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কবির বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর পর আয়োজিত কর্মী সভাকে ঘিরে আমাদের পক্ষে নেতা কর্মীদের ব্যাপক সমাঘম ও উৎসাহ ছিল কিন্ত প্রতিপক্ষ এতে ইর্ষান্বিত হয়ে আমার কর্মীদের ফোন দিয়ে সভায় আসতে নিষেধ করে। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় তারা কর্মীসভায় বাধাঁ দেয়। এতে প্রশাসন এই ১৪৪ ধারা জারি করে। আমরা এই ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *