স্বপ্ন পূরণ হওয়ার অপেক্ষায় বাবা-ছেলে

অনলাইন ডেস্ক :

১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে আসছেন জিয়াউর রহমান। গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পর থেকে নিজেকে আরও শাণিত করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি একমাত্র ছেলে তাহসিন তাজওয়ারের মাঝেও খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিজের ছায়া। তাইতো ছেলেকে ভবিষ্যতের দাবাড়ু বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুজনের স্বপ্ন ছিল একই সঙ্গে বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে খেলবেন। সেই স্বপ্ন এখন পূরণ হওয়ার পথে। তাদের জায়গা হয়েছে বাংলাদেশ দলে। কাল বুধবার ভারতের চেন্নাইর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন নিয়াজ-জিয়া-শিরিনরা। বাবা জিয়াউর রহমানের মতো ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও দাবা নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন। ফিদে মাস্টার থেকে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এবার তো বাবার সঙ্গে প্রথম দাবা অলিম্পিয়াডে জায়গা পেয়ে আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করছে তার। তাহসিন বলেছেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। বাবার সঙ্গে একই দলে খেলবো। এখন দাবা অলিম্পিয়াডে ভালো করার চেষ্টা করবো। দেশের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে।’ তাহসিন ২০১০ সালে বাবার সঙ্গে তুরস্কে বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৩২১ রেটিংধারী ছেলে এখন একই সঙ্গে খেলবেন। তাই বাবা জিয়াউর রহমানও খুব খুশি। জিয়া ১৪ বছর বয়সে অলিম্পিয়াডে খেলেছেন। আর ছেলের অভিষেক হচ্ছে ১৬ বছর বয়সে। জিয়া উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আশা করছি, ও ভালো করতে পারবে। ওর মধ্যে প্রতিভা আছে। তবে দাবা অলিম্পিয়াডে কতটুকু ভালো ফল হবে তা বলা কঠিন। আমাদের সেভাবে টিমওয়ার্ক হয়নি। যদি সবার ফর্ম ঠিক থাকে তাহলে ভালো ফল হবে মনে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ দল
ওপেন বা পুরুষ দল: গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব, গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, ফিদে মাস্টার মেহেদী হাসান পরাগ ও ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। ক্যাপ্টেন : মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু।
নারী দল: নারী ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস, নারী ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম, নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার শারমিন সুলতানা শিরিন, নারী ফিদে মাস্টার নাজরানা খান ইভা ও উম্মে তাসলিমা প্রতিভা তালুকদার। ক্যাপ্টেন : নারী ক্যান্ডিডেট মাস্টার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *