জুড়ী প্রতিনিধি : নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরী সহ দাবী দাওয়া পূরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ ঘন্টা কর্মবিরতী পালন করেছে জুড়ী উপজেলার চা বাগানের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা হতে ১১ টা পর্যন্ত ১৮ টি চা বাগানের শ্রমিকরা পৃথকভাবে স্ব স্ব বাগানে এ কর্ম বিরতীতে অংশ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন ২ ঘন্টা করে এ কর্ম বিরতী চলবে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে সোনারুপা চা বাগানের ডিভিশন পুচি চা বাগান গিয়ে দেখা যায়,সেখানের প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক বাগানে কাজ রেখে রাস্তার পাশে বসে কর্ম বিরতি পালন করছেন।বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন,দীর্ঘদিন থেকে ৩০০ টাকা মজুরীর জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি,মজুরী বোর্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে না,মানুষ হিসেবে বেচেঁ থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন।১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল,যা দিয়ে কোন শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাবো অসম্ভব। এ চা বাগানের শ্রমিক রিনা রুদ্রপাল,স্যাম সুন্দর চৌহান,খুলশী কর্মী বলেন,আমাদের রাস্তার বেহাল দশা,সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে গেলে সারাদিন লাগে ডাক্তার দেখাতে, তা ও আবার সব রোগের জন্য একটি প্যারাসিটাল একটা এন্টাসিড দেয়।আমাদের বসবাসের ঘরগুলো ও অনুপযুক্ত। অন্যদিকে কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজন্তী বাউরীর সভাপতিত্বে এ বাগানে কর্মবিরতীতে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী ভ্যালী চা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কমল বুনার্জী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমলা বাউরী,অর্থ সম্পাদক নীরেন বুনার্জী,ইউপি সদস্য ধীরেন বুনার্জী,সদস্য সঞ্জয় চাষা প্রমুখ। বীরেন্দ্র চাষা, বীর গুগালি ডিভিশনের সভাপতি সুলভ বুনার্জী,পদ্মা বুনার্জী,অঞ্জনা চাষা,বিমল বুনার্জী,অনদা চাষা, প্রমিলা বাউরী প্রমুখ। সোনারুপা চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী জানান,চা শ্রমিকের দাবি দাওয়ার জন্য চা সংসদের প্রতিনিধিরা চা বোর্ডের সাথে বসে আলোচনা করেন।বাগানে কর্মবিরতী করতে হলে বোর্ড লিখিতভাবে আমাদের অবগত করে,এ বাগানে লিখিত কোন কাগজ পাইনি।চা শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেছে।
