কুলাউড়া প্রতিনিধি : প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত কুলাউড়া বনবিভাগের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হলেন কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। সিলেট বিভাগের দুই জন রেঞ্জ কর্মকর্তার মধ্যে কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন এ শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করলেন। ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। এসময় সহকারী বন রক্ষক জিএম আবু বকর সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এক বার্তায় রিয়াজ উদ্দিন তাঁকে শুদ্বাচার পুরস্কারে ভূষিত করায় বননিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তাঁর পুরস্কার গ্রহনের মধ্য দিয়ে বনবিভাগে একজন সক্রিয়, বিচক্ষন এবং সাহসী কর্মকর্তার কর্মের মূূল্যায়ন হয়েছে বলে অভিমত স্থানীয় বনসংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে রিয়াজ উদ্দিন যোগদানের পর থেকেই সরকারের বন রক্ষায় ব্যাপক তৎপর ছিলেন। বিশেষ করে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের নলডরী ও মুড়াইছড়া এলাকায় সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ কেটে এবং পাহারাদার ও উপকারভোগীদের ওপর হামলা করে খাসিয়ারা। এ নিয়ে খাসিয়া ও বাঙ্গালী উপকারভোগীদের বিরোধ তুঙ্গে ছিল। ওইসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের আয়োজনে সম্প্রীতি সমাবেশে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া ছুটে আসেন কর্মধায়। ওই সমাবেশে খাসিয়া ও বাঙ্গালীদের নিয়ে বনরক্ষায় ব্যাপক আলোচনা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়াই রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন কর্মধা ইউনিয়নের ঢলুছড়া পুঞ্জিতে সামাজিক বনায়ন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি কুলাউড়া রেঞ্জের বিভিন্ন বিটে খাসিয়া সম্প্রদায়ের কবল থেকে বনভূমি উদ্বার করে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প সফলতার সহিত সম্পন্ন করেছেন। অতীতে প্রকাশ্যে পাহাড়ে বনখেকোদের দৌরাত্ম থাকলেও বনখেকোদের আতংকে পরিনত হয়েছেন তিনি। সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিনকে শুদ্বাচার পুরষ্কারে ভূষিত করেছে বনবিভাগ।
