অন্যকে ফাসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে গেলেন কয়সর ও তার অপকর্মের সহযোগিরা

 সাজানো ধর্ষন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম মিসবা উল ইসলাম কয়েসকে ফাসাতে গিয়ে নিজেই ফেসে গেলেন কয়সর আহমদ ও তার সহযোগিরা। জানা যায়, সিলেট জেলাধীন সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট এলাকায়, এইচ এম এগ্রো ফার্মের জমি দখলের জন্য দীর্ঘ দিন যাবত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার আহমদপুর গ্রামের ওয়াতির আলী হাবিব মিয়ার ছেলে, বর্তমানে এসএমপির শাহপরান থানাধীন খাদিম বিসিক এলাকার বাসিন্দা কয়সর আহমদ ও তার সহযোগীরা। তার ধারাবাহিকতায় কথিত স্বপনা রানী চক্রবর্তী উরফে স্বপ্নারানী গোস্বামীকে দিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তার প্রকৃত নাম ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র গোপন করে মোহাম্মদ মিছবা উল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সাজানো ধর্ষনের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। শাহবাগ থানার মামলা নং-২৩, তাং- ২৪/০৭/২০২১ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী- ২০০৩) এর ৯(১)। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জামাল উদ্দিন মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাদিনী ধর্ষনের সাজানো মিথ্যা এজাহার থানায় দায়ের করায় এজাহারনামীয় আসামী মোহাম্মদ মিছবা উল ইসলামকে অত্র মামলার দায়ভার হতে অব্যাহতির প্রার্থনা জানান এবং ধর্ষনের অভিযোগে থানায় সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদিনীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নাঃ শিঃ নিঃ দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ১৭ ধারা মোতাবেক এবং বাদীনিকে বশীভূত করে সাজানো মিথ্যা ধর্ষন মামলা করানোর কারনে অপরাপর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রকারী অপর ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রেরন করেছেন। স্বপনা রানী চক্রবর্তীর অপর সহযোগীরা হলেন, এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার বড়শলা গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দিন এর ছেলে শামিম আহমদ, একই এলাকার মৃত জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী জহুরা জিয়া,সিলেট জেলার বালাগন্জ উপজেলার আহমদপুর (গহরপুর) গ্রামের ওয়াতির আলীর ছেলে কয়সর আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের সমুজ আলীর মেয়ে জুবিন বেগম, রমনা মডেল থানার সিদ্বেশ্বরী অন্তরা আবাসন এলাকার ইউনুস আলীর স্ত্রী এডভোকেট আনোয়ারা শিখা, একই এলাকার গোপাল চন্দ্র গোস্বামীর ছেলে রঞ্জন চন্দ্র গোস্বামী। মামলা সুত্রে জানা যায়, কথিত স্বপনা রানী চক্রবর্তী উরফে স্বপ্নারানী গোস্বামী কয়সর আহমদ চক্রের প্রলোভনে ২০২১ সালের ২৩ আগষ্ট স্বপনা রানী ও তার স্বামী রজন চন্দ্র গোস্বামী তাদের প্রকৃত নাম ঠিকানা গোপন করে এডভোকেট মিসবাউল ইসলামের নাম ঠিকানা হোটেল রেজিষ্টারে লিখে রাতে হোটেল মেট্রোপলিটনের ৪র্থ তলার ৩১০ নং রুমে রাত্রি যাপন করে। পরের দিন বিকাল ২টায় কয়সর আহমদ এর অপকর্মের সহযোগি আনোয়ারা শিখার সহযোগিতায় কথিত স্বপনা রানী চক্রবতী ডিএমপির শাহবাগ থানায় হাজির হয়ে সাজানো মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন কয়সর আহমদ গং অপরাধী চক্র এইচ এম এগ্রো ফার্মে বার বার হামলা করে দখল করতে ব্যর্থ হয়। এইচ এম এগ্রো ফার্মের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট মিসবা উল ইসলামের আইনগত সহযোগিতার কারনেই কয়সর গং ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে এডভোকেট মিসবা উল ইসলামকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা সহ আর্থিক ক্ষতি সাধনের লক্ষে একজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে নামে, বেনামে, ছদ্ম নামে, বাদি হায়ার করে একাধিক সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে। তদন্তে সবগুলো অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আলাপকালে এডভোকেট মিসবা উল ইসলাম বলেন, এইচ.এম. এগ্রো ফার্মের ভূমি ‌জবরদখলকারীদেরকে আইনগত ভাবে‌ বাঁধা দেওয়ায়‌ ষড়যন্ত্রকারী‌ প্রতারক কথিত সিআইপি কয়সর আহমদ গং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং হয়রানির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি‌ সাধন করার উদ্দেশ্যেই একাধিক সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সবগুলো মামলা সাজানো, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *