বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সুপার এডিট করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন বেতাগী উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি বিএম আদনান খালিদ মিথুন। তিনি বলেন, আমাকে অভিযুক্ত করার পূর্বে ডোপ টেস্ট করানো হোক। সত্যতা মিললে আমি নিজেই রাজনীতি ছেড়ে দিব। বুধবার দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নে এক সংবাদ সম্মেলন বিএম আদনান খালিদ মিথুন এই দাবি করেন। গত সোমবার রাত থেকে বিএম আদনান খালিদ মিথুনের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ালে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদনান খালিদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এই যড়যন্ত্র করেছে। যে ছবিগুলো ছড়িয়েছে তা সুপার এডিট করা। আমার স্থির চিত্রগুলো ভিডিও রূপান্তরিত করা হয়।৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি এডিটিং করে ১৬ সেকেন্ড করা হয়েছে।আপনারা চাইলে আমি ডোপ টেস্ট করাতে পারি। আদনান খালিদ আরও বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে এমন গুজব রটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে মামলা করবো। এডিট করা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম আদনান খালিদ বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আলতাফ হোসেন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই আদনান খালিদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে উত্থান শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি সভাপতি হন।
