ধর্ম নিয়ে মিথ্যা উস্কানি দিলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা-পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন, ‘যারা ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ঘটনা রটানোর চেষ্টা করবে, তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের যা কিছু পোস্ট করুক বা কোন কিছু যদি শেয়ার, মন্তব্য করে তাহলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।’ পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব কথা বলেন।
২৭ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশের ফেসবুক আইডি মাধ্যমে তিনি আরও জানান, ‘ধর্মীয় উস্কানি যদি কেউ দেয় তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে ধরে নিয়ে আসবো। ধর্মীয় উস্কানি যে কেউ যদি দেয় তাহলে আমাদের জেলায় যেখানেই পাই তাকে আমরা ধরবো প্রয়োজন হলে ঢাকা থেকে ধরে নিয়ে আসবো। সে যে ধর্মেই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। কারণ, এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই বিষয়গুলো আমাদের দেখতে হবে। এখন সাইবার ক্রাইম, সাইবার অপরাধ তো বেড়ে গেছে, আমরা এগুলো কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো। পূজায় আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সব অফিসাররা মাঠে থাকবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এইবার তো আমরা সম্প্রীতি কমিটি করেছি, এই সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটা পূজা মন্ডপে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। মনে করেন একটা গ্রামে দূরবর্তী একটা জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেখানে ৫ জন হিন্দু সম্প্রদায় ও ১০ জন মুসলমান সম্প্রদায় মিলে সম্প্রীতি কমিটি করা হয়েছে। এই সম্প্রীতি কমিটির প্রত্যেকের নাম ঠিকানা আমাদের কাছে রয়েছে। এই পূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি কমিটি প্রত্যেকটি জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
গতবছর কুলাউড়া উপজেলায় ৩ টি মান্ডপে, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫ টি পূজা মান্ডপে ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। এজন্য এবছর বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজা মান্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবিদের আলাদা মনোগ্রামযুক্ত একটি পরিচয়পত্র ও বিশেষ ধরনের লাঠি সরবরাহ করা হয়েছে। যাতে করে তারা প্রাথমিকভাবে যে কোনও সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে।
এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা মন্ডপ ১০০৭ টি। এর মধ্যে সার্বজনীন ৮৭১টি মন্ডপে এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *