করোনার কারণে ২ বছর পর কুমারী পূজা

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর সারা দেশে ‘কুমারী পূজা’ উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে এই পূজা উদযাপিত হয়।

দিনের প্রধান আকর্ষণ হল কুমারী পূজা; যেখানে প্রাক-বয়ঃসন্ধিকালীন একটি মেয়েকে ‘দেবী মা’ হিসেবে পূজা করা হয়।

সকালে এটি উদযাপন করতে কয়েক হাজার হিন্দু ভক্ত দেশজুড়ে পূজা মণ্ডপে ভিড় করেন।

ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারী বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

দেশ ও এর জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ কামনা করে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে বিপুল সংখ্যক ভক্ত দেবী দুর্গার সামনে প্রার্থনা করেন।

এ উদযাপনের মধ্যদিয়ে মন্দের ওপর ভালোর বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

পূজিত মেয়েটি সেই শক্তির প্রতীক যা পৃথিবীতে সৃষ্টি, স্থিতিশীলতা ও ধ্বংস নিয়ন্ত্রণ করে। দেবীকে প্রতীকীভাবে স্নান করানো হয় এবং চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য পোশাক পরানো হয়।

প্রাচীনকালে, দেবীর উদ্দেশে বলি হিসেবে একটি মহিষ দেয়া হত। বর্তমানে দেবীর উদ্দেশে কলা, কুমড়া ও শসা উৎসর্গ করা হয়।

শনিবার সারাদেশের মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা।

৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।

বাংলাদেশের ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

—-ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *