সিলেট অফিস : সিলেটের প্রয়্যাত সাংবাদিক নাজমুলের গ্রামের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। ক্ষেতের জমি থেকেও প্রতিদিন লোকজনকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। বাড়ির কেয়ারটেকার ও তার স্ত্রীকে মারধরের পর নাজমুলের অসহায় মা বোনেরাও পৈত্রিক ভিটায় যেতে পারছেন না। আর এসব ঘটনা ঘটছে জকিগঞ্জ উপজেলার বিরশ্রী ইউনিয়নের কোনারগাও গ্রামে। বিষয়টি পুলিশের উধ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত এ চক্রটি নাজমুলের জীবদ্ধশায়ও তাদেরকে উৎপাত করতো। জমিজমা দখলের চেষ্টা চালাতো। এদের কারণেই নাজমুলরা স্ব পরিবারে সিলেট নগরে চলে আসেন। ২০১১ সালের ২৯ বছর বয়সে নাজমুল মারা গেলে এ চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। নাজমুলের প্রবাসী পিতা নুরুল ইসলামও পাঁচ বছর আগে মারা যান। নাজমুল এবং তার বাবার কবরও সেখানে। পুরুষহীন পরিবারটির বিশাল সম্পক্তি দেখভালের জন্য নাজমুলেল মা ও দুই বোন আছেন। তারা সিলেটে শহর থেকে মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে যান। সম্প্রতি কয়েকদফা বাড়িতে গিয়ে তারা বাধার সম্মুখিন হয়েছেন আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি ও তার লোকজনের দ্বারা। । এমনকি বাড়ির কেয়ারটেকার মক্তার ও তার গর্ভবতি স্ত্রীকে পর্যন্ত তারা মারপিট করেছে সে ও তার সহযোগিরা।। জমিতে চাষাবাদে বাধা দিচ্ছে। এসব বিষয়ে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হরে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পায়। কিন্তু মামলা রুজু করেনি। ফলে সর্বশেষ গত সপ্তাহে নাজমুলের বড়বোন পারভিন বেগমসহ স্বজনরা গ্রামে গেলে এসব দূস্কৃতকারীরা বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে খোঁজে এবং বাড়িতে গেলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। পরে তারা বাড়িতে না গিয়েই ফিরে আসেন। এসব বিষয় জানিয়ে নাজমুলের বয়োবৃদ্ধা মা মিসবাহ খানম সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে তাদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু ্পর্যন্ত বিষয়টি তদন্তেই যায়নি পুলিশ। ফলে নাজমুলের মাসহ পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তারা। এ ব্যাপারে তারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, নাজমুল হাসান একজন প্রগতিশীল প্রতিশ্রুতিশীল লেখক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি এসটিভি ইউএসএর সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক কাজিরবাজার ও জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। নাজমুলের সতীর্থরা গ্রামে তাঁর নামে একটি পাঠাগারও প্রতিষ্টা করেছিলেন।
