দুদকের মামলায় জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ ১ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আর কোনো বাধা রইলো না। দুদকের মামলার আবেদন বাতিলে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দুদকের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ডা. জোবায়দার করা লিভ-টু-আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে জোবায়দার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। গত বছরের ১ এপ্রিল জোবাইদা রহমানের লিভ-টু-আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ওই বছরের ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে যায়। এর প্রায় এক বছর পর গত ৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হলে আদালত আদেশের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *