মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের উত্তেজনা, দোছড়ি ও ঘুমধুম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০ পরিবার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে শনিবার ছয় ঘণ্টা ধরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটানা গুলি ও মর্টার গোলাবর্ষণের মুখে স্থানীয় প্রশাসন ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শব্দ ও উত্তেজনা এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর শনিবার আবারও শরু হয়েছে।

দুপুর ১টায় দোছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

দেশটির সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় কয়েক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

জামছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মো. রহমান বলেন, রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা মিয়ানমারের বেশ ভেতরে কাজ করছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় কোনো গোলাগুলি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আজ দুপুর ১টায় আবার শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় তিনি জামছড়িতে ছিলেন।

ইমন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাবর্ষণের মধ্যে ত্রিশটি পরিবার যাদের বাড়ি সীমান্তের খুব কাছাকাছি তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

এছাড়াও গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে মিয়ানমারের পাশ থেকে গুলি চলছে।

—ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *