কোহলির সঙ্গে সূর্যকুমারের সফল জুটির রহস্য কী?

অনলাইন ডেস্ক :

শুরুতেই সাজঘরে ফিরে গেলেন লোকেশ রাহুল। ফিফটি করলেও রানের গতি বাড়াতে পারলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তখনই দৃশ্যপটে হাজির হলেন সূর্যকুমার যাদব। ফর্মে থাকা বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকেই দিলেন তিনি। কোহলির সঙ্গে সূর্যকুমারের জুটি ছিল ৯৫ রানের, ৪৮ বলে। সিডনিতে বৃহস্পতিবার এ জুটির সৌজন্যেই ডাচদের বিপক্ষে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৫৬ রানের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। সহজাত ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডসের বোলারদের ওপর চড়াও হন সূর্যকুমার। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে পূরণ করেন ফিফটি। কোহলি অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৬২ রান করে। একশ ছুঁইছুঁই জুটিতে একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন দুজন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে কোহলি-সূর্যকুমার জুটির সংগ্রহ ১০ ম্যাচে ৪৯৬ রান। যেখানে রয়েছে দুইটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি জুটি। এই সংস্করণে তৃতীয় উইকেটে এর চেয়ে বেশি রান নেই আর কোনো জুটির। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১২ ম্যাচে জুটি বেঁধে ৫৫১ রান যোগ করেছেন কোহলি ও সূর্যকুমার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোহলির সঙ্গে সফল জুটির পেছনের মন্ত্র জানালেন সূর্যকুমার। তার মতে, সবসময় চিন্তার জায়গা সহজ করে দেন কোহলি। এ ছাড়া দ্রুত দৌড়াতে পারাও তাদের জুটির সফলতার অন্যতম কারণ মনে করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। “আমি যখন ব্যাট করতে নামি, পরিস্থিতি অনুযায়ী চিন্তা-ভাবনা ও (দলের) পরিকল্পনা খুবই পরিষ্কার থাকে। একইভাবে আমিও নিজের ব্যাপারে স্বচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে নামি। বাউন্ডারির খোঁজ করি, গ্যাপে খেলে জোরে দৌড়ানোর চেষ্টা করি। তার (কোহলি) সঙ্গে ব্যাটিং করার সময় অবশ্যই দ্রুত দৌড়াতে হবে।” “কোহলি চিন্তার জায়গা পরিষ্কার করে দেয়। উইকেটে গিয়ে যখন আমি কিছুটা দ্বিধায় ভুগি। তিনি আমার কাছে এসে বলে দেন, কোন বোলার এখন কী ধরনের ডেলিভারি করতে পারে। তো এখানে পারস্পরিক আস্থা দারুণ। আমি তার সঙ্গে ব্যাটিং খুব উপভোগ করছি।” কোহলি ও সূর্যকুমার জুটি বেঁধে শুধু যে রেকর্ড সংখ্যক রান করেছেন তা নয়। বেশিরভাগ সময়ই ওভার প্রতি দশের বেশি রান তুলেছেন এ দুজন। এর পেছনে একে অপরের ব্যাটিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি তুলে ধরেছেন সূর্যকুমার। “আমার মনে হয়, একসঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় আমরা একে অপরের খেলার ধরনকে সম্মান করি। যেমন, আমি যদি এক প্রান্ত থেকে বাউন্ডারি পেতে থাকি তাহলে তিনি এক রান নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দেন, ভালো শটের তাড়না ধরে রাখেন। আমরা এক সঙ্গে ব্যাটিং উপভোগ করি, যত দ্রুত সম্ভব দৌড়াতে চেষ্টা করি। এটি দারুণ বিষয়। তার সঙ্গে আরও জুটি গড়তে মুখিয়ে আছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *