ক্যারিয়ার নিয়ে যা বললেন বাঁধন

অনলাইন ডেস্ক :

শোবিজের আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইংনিসে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে আছেন তিনি। গত শুক্রবার জন্মদিন ছিলো বাঁধনের। ৩৯ বছর বয়সে পা রাখলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে ভক্ত-অনুরাগী-বন্ধু-স্বজনদের কাছ থেকে নানান উপহার ও ভালোবাসাময় শুভেচ্ছা পেয়েছেন বাঁধন। তবে এদিন অন্যরকম এক উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত এই তারকা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধনকে নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছেন ব্যারিস্টার ও প্রগতিশীল লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদ। সেই লেখাটি নজরে এসেছে অভিনেত্রীর। আর সেটি পড়েই ভীষণ আনন্দিত তিনি। করছেন সম্মানবোধ। জন্মদিনে বাঁধনকে নিয়ে ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, আজমেরী হক বাঁধন একজন লোকপ্রিয় নায়িকা। তার ছবি দেশের জন্যে আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনেছে সে কথা তো সকলেই জানেন। তাকে আমি কেবল অভিনেত্রী অভিনয়শিল্পী বা ইংরেজিতে অ্যাক্টর না বলে নায়িকা বলতেই পছন্দ করবো-আর ইংরেজিতে হিরো। কেন? কেননা এই অভিনেত্রী কেবল তার পেশাগত ক্ষেত্রে অর্থাৎ অভিনয়ের ক্ষেত্রেই যে নায়কোচিত অগ্রসরতা দেখিয়েছেন সেটা তো কেবল নয়- নিজের জীবনে এবং সমাজের সর্বত্র তিনি একটা লড়াইয়ের অগ্রভাগে দাঁড়িয়ে লড়ছেন প্রতিদিন। ওকে তাইলে আপনি হিরো বলবেন না তো কি কেবল অভিনেত্রী অভিধায় সীমিত রাখবেন? না, নানাপ্রকার লড়াই তো আমাদের সকলকেই নিজেদের জীবনে লড়তে হয়। বাঁধনকেও লড়তে হয়েছে, প্রতিদিনই লড়তে হয়। আর যদি এই পোড়ার দেশে নারী হয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে কেউ তাইলে তো তার লড়াইটা শুরু হয়ে মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে আসার সাথে সাথেই। কখনো কখনো তো মায়ের গর্ভে থাকতেই নারী শিশুটির টিকে থাকার লড়াই শুরু হয়ে যায়। বাঁধনও একজন নারী তাকেও তো লড়তে হবেই- এটাই তো স্বাভাবিক। তবু অন্য সকলের সাথে আমাদের এই হিরোর লড়াইয়ের একটা পার্থক্য রয়েছে। বাঁধন তার লড়াইটা জানেন, শত্রু মিত্র চেনেন এবং জানেন যে তার প্রতি যে আক্রমণ সেটা কেবল তার ব্যক্তিগত বিড়ম্বনা বা বিপদ মাত্র নয়, এটা হচ্ছে নারীর প্রতি পিতৃতন্ত্রের হাজার বছরের পুরনো আক্রমণ ও আঘাতেরই একটা অংশ মাত্র। বাঁধনের এই সচেতনতাই তাকে সংগ্রামের অগ্রভাগে স্থাপন করেছে, স্থাপন করেছে হিরোর আসনে। কি করে বুঝলেন এই কথাটা? লক্ষ্য করলেই দেখবেন বাঁধন তার সংগ্রামের কথাটা স্পষ্ট করে প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেন। তিনি কেঁদে কেটে আপনার মায়া করুণা সহানুভূতি প্রার্থনা করেন না- তিনি তার সংগ্রামের কথা স্পষ্ট করে বলেন। ফেসবুকে লিখে বলেন, সাক্ষাৎকার ইত্যাদিতে বলেন, সভা সমিতিতে বক্তৃতা দিয়েও বলেন। এইভাবেই বিশ্বব্যাপী চলমান নারীর মুক্তির সংগ্রামে আমাদের এই ছোট দেশের ততোধিক ছোট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন হয়ে দাঁড়ান একজন গুরুত্বপূর্ণ সেনাপতি। আজকে আজমেরী হক বাঁধনের শুভ জন্মদিন। আপনাকে অভিবাদন বাঁধন। শুভ জন্মদিন। এই লেখাটিকে জন্মদিনের অন্যরকম ‘উপহার’ হিসেবেই মূল্যায়ন করছেন বাঁধন। তিনি বলেন, এই লেখককে কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তার সঙ্গে আমার পরিচয়ও নেই। দূর থেকে জেনেই তিনি আমাকে নিয়ে লিখেছেন। লেখাটি পড়ে সত্যিকার অর্থেই আমি আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত। আমার জীবনের জার্নিটা তো অনেক কঠিন। সে জার্নিটার মধ্যে যখন মানুষের এমন ভালোবাসা পাই তখন সত্যিকার অর্থেই মনের ভেতর একটা শক্তি অনুভব করি। মানুষের এমন ভালোবাসা নিয়েই পথ চলতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *