হারিস মোহাম্মদ: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ভরডহর এলাকায় একটি করাতকল পেশিশক্তি প্রয়োগ করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানা যায়, দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র হাবিবুর রহমান তার প্রতিবেশী ফরমুজ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের সাথে যৌথ মালিকানায় একটি করাতল স্থাপন করে। করাত কলটি স্থাপনের কিছুদিন পর আব্দুর রহিম ও তার শালা একই গ্রামের মৃত কটু মিয়ার ছেলে তৈমুছ আলী দলবল নিয়ে জোরপূর্বক করাতকলটি দখল করে নেয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূরের শরণাপন্ন হন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও বিষয়টির কোন মিমাংসা না হওয়ায় হাবিবুর রহমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ী থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সরজমিনে যান।
আলাপকালে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান জানান, আব্দুর রহিম ও তার শালা তৈমুছ আলী জোরপূর্বক করাতটি দখল করে নেন। এতে আমি আর্থিকভাবে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। করাত কলটি দখলের পাশাপাশি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রহিম বলেন, আজ পুলিশ এসেছিল। বিষয়টি দেখার জন্য আমাদেরকে থানায় যেতে বলা হয়েছে। আমরা থানায় বসে বিষয়টি সমাধান করব।
এ বিষয়ে সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর বলেন, তাদের দু পক্ষের মধ্যে করাকল নিয়ে একটি ব্যবসায়িক জটিলতা দেখা দেয়। বিষয়টি আমাদের কাছে মৌখিকভাবে জানানোর পর দুই পক্ষকে নিয়ে সমাধান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু বিচারের রায় প্রথম পক্ষ (আব্দুর রহিম গং) বারবার প্রত্যাখ্যান করায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পক্ষ হাবিবুর রহমানকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
জুড়ী থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।lj