সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ: ভোজন বিলাসী পর্যটকদের গতানুগতিক ধারাবাহিকতাকে অতিক্রম করে নিরিবিলি পরিবেশে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সর্বদা অঙ্গিকার নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্বোধন হয়েছে টি ভ্যালী রেষ্টুরেন্ট এন্ড বাজার। রেষ্টুরেন্টে রয়েছে সুবিশাল এসি ফ্যামিলি/পার্টি হল, অফেন ডাইনিং স্পেস, সাধারন হলরুমসহ নিজস্ব গাড়ি পার্কিং এর সুবিধা। ‘টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট’ এর শীতকালীন বিশেষ আকর্ষন হচ্ছে প্রতিদিন সিদ্ধ রুটির সাথে হাঁসের মাংস, খাসির পায়া, চিকেন স্যুপের পাশাপাশি পোলাওয়ের সাথে পাবেন খাসির মাংসের স্পেশাল কোরমা।
এছাড়া নিয়মিত চিকেন বিরিয়ানী, মাটন বিরিয়ানীসহ সাদা ভাতের সাথে লোকাল মাছ-মাংস, রকমারী ভর্তা-ভাজি’তো আছেই। আছে কাচ্চি বিরিয়ানীও।
সকালের নাস্তায় স্পেশাল খিচুরি, তেহারী, বিরিয়ানী, পরটা সাথে খাসির পায়া,খাসির কলিজা, ডাল-সবজি, ডিম মামলেট। বিকালের নান্তায় নান-পরটা’র সাথে, গ্রিল, চাপ, চিকেন ও মাটন বডি কাবাব, ডাল-চায়নিজ সবজি, খাসির কলিজাসহ লোকাল গরুর দুধের স্পেশাল চা।
গতকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধায় শ্রীমঙ্গলের ভানগাছ রোডস্থ টি ভ্যালী রেষ্টুরেন্টে এন্ড বাজারে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এক মিট দ্যা প্রেসে এ সুযোগ সুবিধার কথা জানান, প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও শ্রীমঙ্গর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম এ রকিব।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ^জ্যোতি চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের দুই পার্টনার শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মীর এম এ সালাম ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল বাছিত।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি কাওছার ইকবাল, দিপংকর ভট্টাচার্য লিটন, সাধারন সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহেল, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাইল মাহমুদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা এম এ রকিব বলেন, তিনি দীর্ঘদিন থেকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ট্যুরিজমের সাথে জড়িত। তাই পর্যটকের চাহিদা প্রতিনিয়তই আমাকে পিড়া দিত। সেই থেকে স্বপ্ন বুনতে থাকি নিরিবিলি, মনোরম পরিবেশে একটা পর্যটক বান্ধব প্রতিষ্টান করার।
তিনি বলেন, নিজের সীমিত সম্বলকে সঙ্গী করে শহরের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভাই-ব্রাদ্রারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তাদের স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা এবং পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করি চলতি বছরের শুরুর দিকে। দীর্ঘ কর্মযজ্ঞের পর আজ আমরা সুন্দর একটা পরিবেশ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেড়েছি। এজন্য শুকরিয়া মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।
সারা দেশের মধ্যেই শ্রীমঙ্গলের আলাদা একটা পরিচিতি বহন করে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে চায়ের রাজধানী খ্যাত দেশের অন্যতম পর্যটক নগরী। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরুপ লীলাভূমি। এছাড়া এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি সামাজিক ও ধর্মিয় মূল্যবোধ ছাড়াও দেশের অন্য যে কোন এলাকা থেকে এখানকার সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে রয়েছে সম্প্রীতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসজুড়ে “টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট” বিভিন্ন খাবারের বিশেষ অফার চালু করেছে। আশা করছি আমাদের “টি ভ্যালী বাজার’টিও স্বল্প সময়ের মধ্যেই চালু করতে পারবো এবং সেখানেও নিত্যপণ্যের বাজার-সদাই করলে স্পেশাল ডিসকাউন্ট থাকবে।
এ উদ্যোক্তা আরো বলেন, আমরা সবাই জানি পর্যটকরা সব সময় পছন্দ করেন একটা নিরিবিলি পরিবেশে বসে স্বাচ্ছন্দে মান সম্পন্ন সুস্বাদু খাবার খেতে। পাশাপাশি তারা চায় সপ্তাহে একদিন হলেও একটা সুন্দর পরিবেশে বসে পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সময় কাটাতে । এজন্য আমাদের রেস্টুরেন্টের ২য় তলায় ডেকোরেশনে ভিন্নতা এনেছি এবং ওফেন স্পেসে ডাইনিংয়ের ব্যবস্থাও রেখেছি।
আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসিকে জানিয়ে দিতে চাই যারা কর্পোরেট ট্যুরে চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গল ভ্রমন করতে আসবেন তারা অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসলে পেয়ে যাবে বিশেষ অফারটি। আর যারা বুকিং ছাড়া শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসবেন তাদেরকে অনুরোধ করবো ‘টি ভ্যালী রেস্টুরেন্ট’র খাবারের স্বাদ গ্রহন করতে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময় বলে থাকেন এবং তরুনদের উৎসাহ দেন যে, চাকুরীর পিছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হবার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই কথাগুলো আমাকে দারুনভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের আরো বলে থাকেন যেকোন প্রোডাক্ট বা বিজনেস লগো ব্র্যান্ডিং করতে, আমরা চেষ্টা করেছি সুন্দর একটা লগো করতে, আমরা দুটি পাতা একটি কুড়ি সংযুক্ত করে লগো করেছি। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে সেটিকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই এবং পথ চলতে চাই। এব্যাপারের সবার সবার লেখনিসহ সর্বাত্তার সহযোগীতা কামনা করছি।