সিলেটের বিশ্বনাথে মামলা তুলে নিতে বাদীকে আসামীরা প্রতিনিয়ত প্রান নাশের হুমকি প্রদান করছে। এমতাবস্হায় বাদী বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারন ডায়রী দায়ের করেছেন। ডায়রী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দশঘর নওয়াগাও গ্রামের মৃত হারিছ উল্লাহর পুত্র শাহিদ আলী,আমিন উল্লাহর পুত্র মোজাহিদ আলী,জাহির আলীর স্ত্রী শাফিয়া বেগম,আরিজ উল্লাহর পুত্র জাহির আলীর সাথে একই গ্রামের মকবুল আলীর রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বিবাদীরা মকবুল আলীর মেয়ে সাদিয়া আক্তার ও ঝুমা আক্তারকে মারধর করে। তখন মকবুল আলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে সিআর ৫৯/৩/২০২২ মামলা দায়ের করেন। গত ৭ ডিসেম্বর মামলার ২,৩ ও ৫ নং আসামী কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসে বাদী মকবুল আলীসহ তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, তাদের ভয়ে মকবুল আলীর ২ স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে ঠিকমত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছেনা। এমতাবস্থায় মকবুল আলীর স্ত্রী রেহেনা বেগম বাধ্য হয়ে বিশ্বনাথ থানায় সাধারন ডায়রী করেন। ডায়রী দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার এস আই জাকির হোসেন বলেন, মকবুল আলীর দায়ের করা মামলায় ৩ জন জামিনে রয়েছেন এবং বাকি ২ জন পলাতক। তবে পলাতকদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,গত ২১ নভেম্বর বিকালে শহিদ, মোজাহিদ, শাফিয়া, জাহির ও আনছারগংরা মকবুল আলীর মেয়ে সাদিয়া ও ঝুমা আক্তারকে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় ২ বোন গুরুতর আহত হলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঝুমা আশংকামুক্ত হলেও সাদিয়া জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষনে।