নেপালের জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন শোভরাজ

অনলাইন ডেস্ক :

সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিচ্ছে নেপালের জেল। বয়সজনিত কারণেই তাকে ছাড়া হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্মানি সংবাদমাধ্যম ডয়চভেলে। ১৯৭০ থেকে ৮০-র দশকে চার্লস শোভরাজের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে অন্তত ২০জন বিদেশি ব্যাকপ্যাকারকে হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ভারতে প্রথম গ্রেপ্তার হন শোভরাজ। জেল থেকে পালান। ফের গ্রেপ্তার হন। পরে নেপালে আজীবন কারাবাসে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নেপালের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ কারাবাসের সাজা ভোগ করেছেন শোভরাজ। বয়সজনিত কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তবে মুক্তি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নেপাল ছেড়ে তাকে চলে যেতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শোভরাজের বয়স এখন ৭৮। তাকে নিয়ে সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে একটি সিরিজ হয়েছে। বিবিসি এবং নেটফ্লিক্সের যৌথ প্রযোজনার ওই সিরিজে শোভরাজের জীবন দেখানো হয়েছে। এর আগে শোভরাজ এবং তার সিরিয়াল কিলিং নিয়ে বইও লেখা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই (২২ ডিসেম্বর) কাঠমান্ডুর জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন শোভরাজ। আফগানিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল, ইরান এবং হংকংয়ে অন্তত ২০টি হত্যার সঙ্গে যুক্ত শোভরাজ। অধিকাংশ সময়েই ব্যাকপ্যাকার পর্যটকদের টার্গেট করতেন তিনি। এমনভাবে খুন করতেন, যাতে হত্যার কোনো চিহ্ন না থাকে। ফরাসি নাগরিক হলেও একাধিক দেশের জাল পাসপোর্ট ছিল তার কাছে। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়েথাইল্যান্ডে প্রথম তার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বার হয়। পাটায়ায় ছয়জন বিদেশিকে হত্যার অভিযোগে ওয়ারেন্ট বের হয়। কিন্তু তাকে ধরা যায়নি। ১৯৭৬ সালে ভারতে প্রথম গ্রেপ্তার হন শোভরাজ। এরপর প্রায় দুই দশক জেলে ছিলেন তিনি। মাঝে ১৯৮৬ সালে জেল থেকে পালিয়েছিলেন শোভরাজ। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ফের গ্রেপ্তার হন। ভারতে পুরো সময় শাস্তি ভোগ করার পর ২০০৩ সালে নেপালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শোভরাজ। সেখানে গিয়ে ফের গ্রেপ্তার হন। এক মার্কিন এবং এক ক্যানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার মামলা ঝুলছিল সেখানে। সেখানে তার আজীবন কারাদ- হয়। শেষ পর্যন্ত বয়সজনিত কারণে মুক্তি পাচ্ছেন শোভরাজ। তবে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তাকে ফ্রান্সে ফিরে যেতে হবে। নেপালে তিনি ১৫ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *