কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মালয়েশিয়াপ্রবাসী বড় ভাইকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে যান ছোট বোন সাদিয়া ও ভাই শিহাব। সাথে ছিলেন সাদিয়ার স্বামী, মেয়ে, বাবাসহ আত্মীয়রা। ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারাসহ পাঁচজন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ওই এলাকায় এখন শুধু শোকের মাতম। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মাদানগর গ্রামের। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুরের শাহপুর নতুন বাজার এলাকায় বালুবোঝাই ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পিকআপভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো চারজন। আহতরা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতরা হলেন, কুলাউড়ার মাদানগর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল হকের মেয়ে সাদিয়া সুলতানা কলি (২৬), জামাতা কমলগঞ্জের ভেড়াছড়ার বাসিন্দা (সাদিয়ার স্বামী) আব্দুস সালাম (৩৫), নাতনি হাবিবা সুলতানা (৩), ছেলে আতিকুর রহমান শিহাব (১৫) ও মাইক্রোবাসচালক উপজেলার পৃথিমপাশার আলীনগরের বাসিন্দা সাদির মিয়া (৩০)। এ ঘটনায় আহতরা হলেন নুরুল হক (৫৬), তার বড় ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী আখলিছুর রহমান রাজু (২৯), ভাতিজা নিশাত (১৮) ও তাদের স্বজন কমলগঞ্জের আঞ্জব আলী (৫০)। জানা গেছে, রাতে মালয়েশিয়াপ্রবাসী রাজুকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা একটি মাইক্রোবাসে করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ভোর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জের শাহপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। পরে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠালে সেখানে আরো দুজন মারা যান। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের আবেদন করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।